হবিগঞ্জের নিখোঁজ যুব সংহতি নেতার লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় চার শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার যুব সংহতির নেতা রফিক মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট রেল সড়কের উপজেলার বার আউলিয়া নামকস্থানে থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে ভোরে বাড়ির দক্ষিণ পাশ থেকে তার রক্তমাখ লুঙ্গি, গেঞ্জি ও একটি কুড়াল উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত রফিক মিয়া উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, শনিবার রাত একটার দিকে প্রকৃতির ডাকা সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয় রফিক। এরপর আর ঘরে ফিরে আসেনি। রাত ২টার দিকে রফিক মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে বাড়ির আশ পাশ খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ভোরে বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে জমিতে রক্ত, তার পড়নের লুঙ্গি-গেঞ্জি ও রক্ত মাখা একটি কুড়াল দেখতে পান স্বজনরা। পরে বাহুবল মডেল থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ঢাকা-সিলেট রেল সড়কের উপজেলার বার আউলিয়া নামকস্থানে স্থানীয়রা ট্রেনে কাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রফিক মিয়ার চার খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে পাঠায়।
এ হত্যাকা-ের ঘটনায় একই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে জাহির মোল্লা (৪৫) ও আবুল কালাম (৪৮) কে আটক করে পুলিশ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির রাস্তা নিয়ে পাশের বাড়ির জাহির মোল্লা, আবুল কালাম ও হাশিম মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তিন মাস আগে বাহুবল-নবীগঞ্জের এমপি এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু বিরোধীয় রাস্তা দিয়ে নিহত রফিক মিয়ার বাড়িতে আসতে চাইলে এমপিকে বাধা দেয়া হয়। পরে বাহুবল উপজেলা চেয়াম্যান আব্দুল হাই এর মধ্যস্থতায় এমপিকে বাড়িতে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেয়া হয়। নিহত পরিবারের দাবি, রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের বৃদ্ধ মা ফুলবানু বুকফাটা আর্তনাদ করে জানান, আমার ছেলে কি এমন দোষ করেছিল যে তাকে মেরে ফেলতে হবে। আমার ছেলে সাতদিন যাবত অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় ছিল। আগে জানলে আমার বুকের ধনকে ঘর থেকে একা বাহির হতে দিতাম না। যারা আমার তিন নাতি-নাতনিদের এতিম করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, রাস্তা নিয়ে বিরোধের বিষয়টি অনেকবার সমাধানের চেষ্টা করেছি। প্রতিপক্ষের লোকজন সমাধানে যেতে রাজি হয়নি।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু, বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম ও র্যাবের ডিএডি বেলাল মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বানিয়াচং উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে, ৩ জনে মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রেবিস্তারিত পড়ুন
হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
হবিগঞ্জের মাধবপুরের হরিতলা বাদশা গেইট এলাকায় ট্রাক ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন
‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে’ গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে’ এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করাবিস্তারিত পড়ুন