হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে আছমা নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মুত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের স্বামী ও দেবরকে আটক করেছে পুলিশ।

গৃহবধূ আছমা বানিয়াচং উপজেলার শেখের মহল্লার বাচ্চু মিয়ার মেয়ে ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ গ্রামের তৌহিদুল মিয়ার স্ত্রী।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ গ্রামের সরাজ উল্লার ছেলে তৌহিদুলের সাথে বিবাহ হয় আছমার। বিবাহের ১ যুগ পার হলেও তাদের কোন সন্তান হয়নি। এ নিয়ে তৌহিদ ও তার পরিবারের লোকজন আছমাকে মারপিট করত। গত ২ বছর পূর্বে দ্বিতীয় বিবাহ করে তৌহিদ। দ্বিতীয় বিবাহের পর আছমার প্রতি নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বেদড়ক মারপিট করা হয় তাকে।

বৃহস্পতিবার রাতে এক সুযোগে আছমা তার মাকে ফোনে জানায় তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় তৌহিদ ও তার ভাইয়েরা আছমার মৃত দেহ বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে পৌঁছে নিহতের পিতা দাবি করেন তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। পরে বানিয়াচং থানার এস আই মোবারক হোসেন হাসপাতালে পৌঁছে লাশের ছুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ প্রেরণ করে এবং আছমাকে হত্যাকারী সন্দেহে নিহতের স্বামী তৌহিদ ও দেবর মোবারককে আটক করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বানিয়াচং থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছিল।

বানিয়াচঙ্গ থানার ওসি অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান, পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মুত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।