যদি বিয়ের ঠিক আগেই হবু স্ত্রী এ কথা বলেন, তা হলে সাধারণ মানুষ কী করবেন? বলা কঠিন। তবে নিশ্চিতভাবেই মানসিক চাপে পড়বেন। কিন্তু এখানেই যে এই খবর আলাদা।

ছোটবেলা থেকেই অ্যামি ফোর্ড এবং জেমস মেরিক একসঙ্গে। কেউ বলে দেননি, এঁরা চিরজীবন একসঙ্গে কাটাবেন। কিন্তু সেই ছোট্টবেলা থেকেই দু’জনে বাঁধা পড়েছিলেন এক অমোঘ বাঁধনে।

শরীরে যৌবন প্রবেশ করেছিল যখন, তখন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিলেন দু’জনেই। স্বীকার করছেন, একসময়ে সেক্স-ম্যানিয়্যাক ছিলেন। সপ্তাহে ছ’দিন, এমনকী সাত দিন পর্যন্ত সেক্স করেছেন দু’জনে। এভাবেই চলে আসে দুই সন্তান।

এবারে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অ্যামি এবং জেমস। কিন্তু আচমকা ছন্দপতন। অ্যামি হঠাৎ আবিষ্কার করেন, তাঁর শরীর আর যৌনতায় সাড়া দিচ্ছে না। তা হলে বিয়ের পরে কী হবে?

অ্যামি বুক বেঁধে একদিন জেমসকে সে কথা জানান। সঙ্গে বলেন, ‘‘আমার শরীর সায় দেয় না। কিন্তু তোমার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তুমি অন্যের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতেই পারো। আমি বাধা দেব না। এমনকী আমিও একজনকে খুঁজে দিতে পারি।’’
কী ভাবছেন, এখানেই শেষ?

স্থির গলায় জেমস উত্তর দিয়েছিলেন, ‘‘অন্য কোনও নারী শরীরের কথা আমি ভাবতে পারি না। আমার একে অপরের কাছে নিজেদের কৌমার্য বন্ধক রেখেছি। তুমিই একমাত্র নারী, যার সঙ্গে আমি শুয়েছি, যৌনতা উপভোগ করেছি। তুমি আমার সন্তানদের মা। মনে রেখো, সেই ছোটবেলা থেকে যখন তোমাকে ভালবেসেছিলাম, তখন যৌনতা ছিল না। ছিল এই বাঁধন, যা আমাদের আজও একসঙ্গে বেঁধে রেখেছে।’’

আর অ্যামি? বলছেন, ‘‘একটা অপরাধবোধে ভুগছিলাম। কিন্তু ও যা বলল, তার পরে আর আমার কিছু বলার নেই।’’