বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

হানিফের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে যা বললেন দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম

সন্তান হারানোর পর নিজের বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব-উল আলম হানিফের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

রোববার রাতে ঢাকার পরীবাগের বাড়িতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “উনি (হানিফ) একথা যদি বলে থাকেন, এটাতে তিনি শুভ বুদ্ধির পরিচয় দেননি, উনি বোঝার চেষ্টা করেননি।

“সরকার বিচার করতে পারেন। আমি দুর্বল মানুষ, একলা মানুষ। আমার কোনো দল নেই। আমার একটা মত আছে, তা প্রকাশ করার সুযোগ পাই না। মিডিয়া নেই, পত্র-পত্রিকা নেই। আমার তেমন টাকাও নেই। বিচার চাইতে কেমনে যাব?”

“হানিফ সাহেব যদি একথা বলে থাকেন, তাহলে উনি খুবই অন্যায় কথা বলেছেন। এটা অন্যায়,” বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক এই অধ্যাপক।

সন্ত্রাসীদের হামলায় একমাত্র ছেলেকে হারানো এই অধ্যাপককে সান্তনা দিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন নেতা তার বাড়িতে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

শনিবার রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় অধ্যাপক কাসেমের ছেলে ফয়সল আরেফিন দীপনকে। তিনি এই প্রকাশনা সংস্থাটির মালিক ছিলেন।

একইদিন লালমাটিয়ায় আরেকটি প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয় এর মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ তিনজনকে।

টুটুল ও দীপন দুজনই গত ফেব্র“য়ারিতে নিহত অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ছিলেন। অধ্যাপক কাসেমের সহকর্মী অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে অভিজিতকে জঙ্গিরা হত্যা করে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।

পুত্র হত্যার পর অধ্যাপক কাসেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, এই খুনের বিচার চান না তিনি। যারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে ‘রাজনীতি’ করছেন-উভয়পক্ষের শুভবুদ্ধি উদয়ের প্রত্যাশা তার।

তার বক্তব্যে ‘বিস্ময়’ প্রকাশ করে ক্ষমতাসীন দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রোববার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, “হত্যাকারীদের আদর্শে বিশ্বাসী বলেই পুত্র দীপন হত্যার বিচার চাননি বাবা আবুল কাসেম ফজলুল হক।

“আমি অবাক হয়েছি। আমার মনে হয়, যারা এই খবরটি পড়েছে, সবাই অবাক হয়েছেন। একজন পুত্রহারা পিতা সন্তানের হত্যার বিচার চায় না, এটা বাংলাদেশে প্রথম। পৃথিবীতেও এমনটা আমি দেখিনি।”

সমাজতন্ত্রের আদর্শের অনুসারী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক জীবনের শেষ ভাগে বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকদের সাদা প্যানেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া অধ্যাপক কাসেমকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন হাফিজউদ্দিন আহমেদ।

অধ্যাপক কাসেমের বাড়িতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এখন বিজ্ঞ মানুষের বসবাস মুশকিল হয়ে গেছে। একটা সন্ত্রাসী দেশ হয়ে গেছে। ছেলে মারা গেছে, বাবা বিচার চায় না, কারণ হত্যাকারীদের সমর্থক-এই যদি বলে, তাহলে আমরা কোন দেশে আছি!”

অধ্যাপক আবুল কাসেমও বলেন, “বিবেকবান, চিন্তাশীল লোকের আত্মপ্রকাশ করা অসম্ভব হয়ে গেছে। আজ মনোবল অর্জন করা কঠিন।”

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নুর ইস্যুতে রনি: তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু হবে না

পটুয়াখালী-৩ আসনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের নুরকে সাংগঠনিকবিস্তারিত পড়ুন

বুধবার ফের অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

অধিভুক্তি বাতিল করে আলাদা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করতেবিস্তারিত পড়ুন

৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্ত প্রকাশ করতে হাইকোর্টের রুল

৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্তভাবে পুনর্মূল্যায়ন করে প্রকাশ করতে রুল জারিবিস্তারিত পড়ুন

  • নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির প্রধান হচ্ছেন যিনি
  • ২০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
  • ধানমন্ডিতে প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা ছিনতাই
  • চালের আমদানি শুল্ক মওকুফের সুপারিশ
  • নাহিদ: বিজয় অর্জন না হলে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দিয়ে রেখেছিলাম
  • জামায়াত আমির: ভোটের ময়দানে ফিরে আসার নৈতিক অধিকার নেই আওয়ামী লীগের
  • গাজায় এক বছরের যুদ্ধে ৪৩,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত
  • প্রথমবারের মতো জনসভায় বিজয়
  • পটুয়াখালীতে নুরের পক্ষে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে বিএনপির নির্দেশ
  • শিল্প কারখানায় ফের গ্যাস সংযোগের সম্ভাবনা, সুখবর নেই গৃহস্থালিতে
  • কাজে যোগ না দেওয়া পুলিশ সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে
  • প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং: কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার