হামলাকারী সেই শফিউলসহ দুই জঙ্গি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
ময়মনসিংহের নান্দাইলে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় পুলিশ হত্যাকারী জঙ্গি শফিউল ইসলাম ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল ইসলাম ওরফে আবু মোকাদ্দেল ওরফে সোহানসহ দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহত অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নান্দাইলের চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের ডাংরীবন্ধ এলাকায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় র্যাব-১৪-এর তিন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানায় র্যাব।
র্যাব-১৪ এর সিইও শরিফুল ইসলাম রাত ১টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, শোলাকিয়ায় পুলিশ হত্যা মামলার আসামি জঙ্গি শফিউল ইসলাম গতকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায়। তাকে কিশোরগঞ্জ থানায় সোপর্দ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নান্দাইলের ডাংরীবন্ধ এলাকায় পৌঁছলে জঙ্গিরা তাকে ছাড়িয়ে নিতে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে জঙ্গি শফিউল পালানোর চেষ্টা করে। দুপক্ষের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র পর ঘটনাস্থল থেকে শফিউল ইসলামসহ গুলিবিদ্ধ দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি পিস্তল, চারটি চাপাতি, কিছু বোমা, দুটি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, অভিযানের সময় জঙ্গিরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখন র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
নান্দাইল থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, শফিউলসহ দুই জঙ্গির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জঙ্গি শফিউল কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে পুলিশের ওপর হামলার আগে ওই এলাকায়ই বাসা ভাড়া নিয়েছিল। ওই হামলার আগেও জঙ্গি শফিউল ইসলাম পঞ্চগড়ে গুপ্তহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের কাছে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার জঙ্গি শফিউল প্রায় এক বছর পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেনি। তবে মাঝে মাঝে সে অজ্ঞাতপরিচয় স্থান থেকে ফোন করে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। শফিউল দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিজুল দারুল হুদা স্নাতকোত্তর মাদ্রাসার আলিম শ্রেণির ছাত্র ছিল। শফিউলের বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নূরপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল হাই।
গত ৭ জুলাই ঈদের দিন সকালে শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের আড়াই শ মিটারের মধ্যে পুলিশ চেকপোস্টে কয়েকজন হামলাকারী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই ঘটনায় নিহত হন দুই পুলিশসহ চারজন। ঘটনাস্থল থেকে শফিউলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে র্যাব। ওই হামলার ঘটনায় শফিউল এবং আরেক জঙ্গি জাহিদুলের পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করে সন্ত্রাস দমন আইনে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে আদালত এ দুই আসামিকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ছাড়া গত ২৮ জুন পঞ্চগড়ের আদালতে পুলিশ যে অভিযোগপত্র দিয়েছে তাতে শফিউল সেখানকার মন্দিরের পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায় হত্যা মামলার আসামি এবং ‘জেএমবি সদস্য’ বলে উল্লেখ ছিল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন