২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে তারেকের সঙ্গে দেখা করেন মুফতি হান্নান। গ্রেনেড হামলা মামলায় সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ সাক্ষ্যতে এ কথা বলেছেন।

আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, ২০০৪ সালের প্রথম দিকে মুফতি হান্নান বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তারেক রহমানের সঙ্গে হাওয়া ভবনে দেখা করেন। সেখানেই গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা হয়।

মঙ্গলবার ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় আগামী ১৭ ও ১৮ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

আব্দুল কাহার আকন্দ আরো বলেন, মুফতি হান্নান তার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে দেখা করেন। মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ ওই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় পরদিন মতিঝিল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং সবশেষ মামলাটি যায় সিআইডিতে।

২০০৮ সালের ১১ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নামযুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন। তবে মামলায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তার নাম বাদ দেওয়ায় এখন আসামির সংখ্য ৫১।

৫১ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ পলাতক ১৮ জন। জামিনে রয়েছেন ৮ জন এবং কারাগারে রয়েছেন ২৫ জন।