হারলেও থামবেন না দিতি হিজড়া
জয়-পরাজয় থাকবে। তাই বলে তো থেমে গেলে হবে না। কথায় আছে না, পরাজয়ে ডরে না বীর। অধিকার আদায়ের লড়াই আমি চালিয়ে যাব।
সদ্য সমাপ্ত কলারোয়া পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে লড়াই করে হেরে যাওয়ার পর এমন মন্তব্য করলেন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া সম্প্রদায়) প্রার্থী দিতি।
পৌর নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে দিতি আরো বললেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার একদিন অর্জিত হবেই। মানুষের ভালোবাসাই আমাকে আগামীর পথ চলার সাহস যোগাবে। মানুষের ভালোবাসা নিয়েই আমি এগিয়ে যাব। গরীব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটবেই।’
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে দিতি সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৫১২ ভোট। আর বিজয়ী লুৎফুন নেছা পেয়েছেন ১৬৫৩ ভোট। মাত্র ১৪১ ভোটের ব্যবধানে ফলাফল নির্ধারিত হয়। তবে এ নিয়ে কোনো হতাশা নেই দিতির।
নির্বাচনের আগে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী হিসেবে গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হন দিতি। তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে বিশেষ প্রতিবেদনও প্রকাশ করে। এসব প্রতিবেদনে উঠে আসে দিতির স্বপ্ন, চিন্তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
দিতি বলেন, ‘আমাদের মানসিকতার এখনো পরিপূর্ণ বিকাশ হয়নি। সমাজে এখনো রক্ষণশীল কিছু মানুষ আছে। তারা এখনো সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।’
দিতি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এলাকায় তার গণজোয়ার দেখে রক্ষণশীল গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ফলে তারা কোথাও কোথাও প্রভাব খাটিয়ে অপপ্রচার চালায়। এতে করে নির্বাচনের ঠিক আগের মুহূর্তে সাধারণ ভোটাররা পড়ে যায় দ্বিধাদ্বন্দ্বে।’
ভোট চুরির অভিযোগ তুলে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী দিতি বলেন, ‘আমার ভোট চুরি হয়ে গেছে। তবুও জয়-পরাজয় থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে তো জীবন থেমে থাকে না। নতুন দিনের নতুন স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা কে কোন লিঙ্গের সেটি বড় কথা নয়। বড় কথা হলো, মানুষ হিসেবে আমরা একই স্রষ্টার সৃষ্টি। সমতার সমতলে একদিন আমরা মিলবই।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন