হাল ছাড়েননি শফিউল
বিপিএলে খুলনা টাইটানসের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন ডানহাতি ফাস্ট বোলার শফিউল ইসলাম। ১৩ ম্যাচে ১৮ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তবে চোটের কারণে পুরো টুর্নামেন্টে খেলতে পারেননি তিনি। চোট পাওয়ায় ক্রিকেট থেকে ছিটকে গিয়েছেন প্রায় চার সপ্তাহের জন্য। এতে করে আসন্ন নিউ জিল্যান্ড সফরে যাওয়া হচ্ছে না শফিউলের। কিছুদিন আগে অনেক দিন পর জাতীয় দলে ফিরেছিলেন শফিউল। তবে আবারো চোটের কারণে মাঠের বাইরে যেতে হচ্ছে এ পেসারকে।
এ ব্যাপারে শফিউল ইসলাম বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক। আমার টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিটা সব শেষ করে দিল। আসলে এটা ভাগ্যে ছিল। আমার আর কি করার! আমি নিউ জিল্যান্ডে খুব ভালো একটা ফর্ম নিয়ে যেতে পারতাম। আমি শুধু দলকেই ভালো সার্ভিস দিতে পারতাম এমন না, আমার ক্যারিয়ারেও এটা কাজে দিত।”
চোটের কারণে পুরো টুর্নামেন্ট না খেললেও বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে বলেন, “এটা আসলে গর্ব করার মতো। তবে আবার আরেক দিক দিয়ে হতাশাজনক। কিছুটা খারাপ লাগাও আছে। কারণ ভালোর কোনো শেষ নেই। আমার এখন মনে হয় আমি যদি আরো কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারতাম তাহলে হয়তো সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হতাম।
বিপিএলে ভালো পারফরম্যান্সের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলে জানান শফিউল। দুই বছর পর জাতীয় দলে ফেরাটাই এটিএমবিশ্বাসের জ্বালানী হিসেবে কাজ করেছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ” আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আসলে এ আত্মবিশ্বাসটা এসেছে আমার জাতীয় দলে দুই বছর পর ফেরার বিষয়টি থেকে। বিশ্বাস করেন আর না করেন, দুই বছর বাদে যখন আমি আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম নামলাম, আমি অনেক চাপে ছিলাম। আমি আমার অভিষেক ম্যাচ থেকেও নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজে বিষয়গুলো বদলাতে থাকবে। আমি ওয়ানডে ও টেস্টে খুব ভালো পারফর্ম করি। ধীরে ধীরে আমি আমার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে থাকি।
খুলনার সাফল্যের কৃতিত্ব তিনি দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। অধিনায়ক রিয়াদের নেতৃত্বে আগেও খেলেছেন তিনি। শফিউলের বোলিংয়ের ওপর রিয়াদ আস্থা রেখেছেন বলে জানান তিনি। তাদের এ রসায়নই দলকে এনে দিয়েছে সাফল্য। বল হাতে রান আটকে রাখার কাজটা করতে চেয়েছিলেন তিনি। এর ফলে বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা চাপে পড়ে গেছে বলে মনে করেন শফিউল।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ ছাড়া প্রতিটি ম্যাচেই বোলিং উপভোগ করেছেন বলে জানান তিনি। কুমিল্লার বিপক্ষে ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট ও রাজশাহীর বিপক্ষে একটি ম্যাচে ৫৩ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। আবার সবচেয়ে ভাল পারফরম্যান্সটাও এদের বিরুদ্ধে। কুমিল্লার বিরুদ্ধে অন্য ম্যাচে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট ও রাজশাহীর বিপক্ষে জেতা শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচে এক ওভারেই ফিরিয়েছিলেন ৩১ রান করা ড্যারেন স্যামি ও ৬৪ রান করা মোমিনুলকে।
পরবর্তী লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, “আমার এখন প্রথমে ফিট হতে হবে। আশা করি আমি দুই-তিন সপ্তাহ পর বোলিং করতে পারব। তারপর আমার লক্ষ্য হলো আমার ছন্দে ফিরে আসা। বাংলাদেশ দলের অনেক ম্যাচ আছে পরের বছর। তাই আমি এখানেই শেষ দেখছি না। আমি আবারো দলে ফেরার জন্য মুখিয়ে আছি। আমি যদি আমার সেরাটা দিতে পারি তাহলে ডাক পাওয়া সময়ের ব্যাপার। যদি সুযোগ পাই তাহলে দেশের হয়ে ম্যাচ জেতাটাই আমার লক্ষ্য। আমি পারফর্ম করতে চাই। যেমনটা করেছি এ বিপিএলে।”
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন