হোসেনী দালানে বোমা : অভিযোগপত্রে ১০ জেএমবির সদস্য
পুরান ঢাকার হোসেনী দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলার মামলায় জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১০ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক শফিউদ্দিন শেখ এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রটি ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে- কবির হোসেন, মাসুদ রানা, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাসুদ, আবু সাঈদ সোলেমান, শাহ জালাল, ওমর ফারুক, চাঁন মিয়া, রুবেল, আরমান ও জাহিদ হাসান। তাঁদের সবাইকে জেএমবির সদস্য বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হোসেনী দালানে বোমা হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে জেএমবি ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দারা। এর মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান তিনজন। তাঁরা হলেন- শাহাদাত ওরফে আলবানি ওরফে মাহফুজ ওরফে হোজ্জা, আব্দুল্লুাহ বাকি ওরফে আলাউদ্দিন ওরফে নোমান, সাঈদ ওরফে হিরন ওরফে কামাল।
এ ছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে জাহিদ হাসান, আরমান, রুবেল ইসলাম ও কবির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর মহররমের রাতে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলায় কেঁপে উঠে শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় তীর্থস্থান হোসেনী দালান ইমামবাড়া। এই ঘটনায় নিহত হন দুজন। আহত হন শতাধিক মানুষ।
এদের মধ্যে ৫৭ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, ১৭ জন মিটফোর্ড হাসপাতালে এবং ১৬ জন মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছিলেন, রাত দেড়টা থেকে হোসেনী দালানের মূল ফটকে একটি তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি চলছিল। মিছিলটি পল্টনে যাওয়ার কথা ছিল। মিছিলে যোগ দিতে এসেছিলেন তরুণ, বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা। এর মধ্যেই রাত পৌনে ২টার দিকে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা।
কারো কারো মতে পরপর ১০-১৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে অনেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কেউবা দৌড় দিতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পায়ের তলায় পড়েছেন। কান্না-চিৎকারে ভারী হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আশপাশের বাসিন্দারা যে যেভাবে পেয়েছেন মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ভ্যান, লেগুনায় আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও আশপাশের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।
গত বছর ২৪ অক্টোবর ওই বোমা হামলার ঘটনায় চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জালাল উদ্দিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এ মামলা করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন