বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা লুটের ঘটনাকে হ্যাকিং নয় ‘ডিজিটাল ডাকাতি’ বলে আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। বিপুল পরিমাণ এই অর্থ লুটের রহস্য উম্মোচন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অথরাইজ পারসন বা সুইফট সিস্টেমের পাসওয়ার্ড ব্যবহারকারী কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করার দাবিও জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০১ মিলিয়ন ডলার (৮০০ কোটি টাকা) লুণ্ঠন একটি বিশ্লেষণাত্মক পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখলেও এ বিষয়ে গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন তুলে ধরেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ শামা ওবায়েদ।

শামা ওবায়েদ দাবি করেন, আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহায়তা ছাড়া অন্য কারো পক্ষে এটা সম্ভব না। তাই এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা উম্মোচিত হবে।’

সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ম্যাট বিশপ স্কাইপিতে যুক্ত হন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘এই রিজার্ভ চুরিতে যারা বেনিফিশিয়ার, সেই ফিলিপাইনে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, সিনেটে শুনানি হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশ নীরব।এই নীরবতার কারণ কী? তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে।’

এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা গবেষণা করে যে প্রতিবেদন তৈরি করেছি সরকার চাইলে এটা নিয়ে কাজে লাগাতে পারে। আমরা মনে করি এতে সরকার উপকৃত হবে।’