হ্যাটট্রিকে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়ার পর বাংলাদেশ
৪১তম ক্রিকেটার হিসেবে মঙ্গলবার ওয়ানডে ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করেছেন তাসকিন আহমেদ। পঞ্চম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসাবে এ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ডানহাতি এ পেসার।
সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিক পাওয়ার তালিকায় বাংলাদেশ আছে চার নম্বরে। রঙিণ পোশাকে বাংলাদেশের থেকে বেশি হ্যাটট্রিক পেয়েছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া।
তাসকিনের আগে বাংলাদেশের হয়ে চারটি হ্যাটট্রিক নিয়েছেন শাহাদাত হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, রুবেল হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। শাহাদাত হোসেন ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে নেন হ্যাটট্রিক। ২০১০ সালে ঘরের মাঠে আব্দুর রাজ্জাক হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন জিম্বাবুয়েকে। ২০১৩ সালে পেসার রুবেল হোসেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক তুলে বাংলাদেশকে দেন জয়ের স্বাদ। তাইজুল ইসলাম ২০১৪ সালে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকে পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিক।
ওয়ানডে ইতিহাসে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সবথেকে বেশি হ্যাটট্রিক পাওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। ৮ পাকিস্তানি বোলার ওয়ানডেতে পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের স্বাদ। ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক পাওয়ার কৃতিত্ব দেখান জালাল-উদ-দিন। পাকিস্তানের এ ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার রডনি মার্শ, ইয়ার্ডলি ও গ্রেউফ লয়সনকে আউট করেছিলেন। ক্রিকেট ইতিহাসে সব থেকে কম বয়সে হ্যাটট্রিক পেয়েছিলেন পাকিস্তানের পেসার আকিব জাভেদ। ১৯ বছর ৮১ দিনে ভারতের বিপক্ষে শারজাহতে হ্যাটট্রিক পান আকিব। তিনি আউট করেছিলেন রবি শাস্ত্রী, মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন ও শচীন টেন্ডুলকারকে। তিনজনই এলবিডাব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেন। এছাড়া হ্যাটট্রিক পাওয়া পাকিস্তানের অন্যান্য ক্রিকেটাররা হলেন ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, সাকলায়েন মুশতাক ও মোহাম্মদ সামি। ওয়াসিম আকরাম ১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিক।
শ্রীলঙ্কার সাত হ্যাটট্রিকের মধ্যে লাসিথ মালিঙ্গা একাই পেয়েছেন তিনবার। ২০০৭ সালে গায়ানায় মালিঙ্গা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার বলে নিয়েছিলেন চার উইকেট। আউট করেছিলেন শন পোলক, অ্যালেক্স হল, জ্যাক ক্যালিস ও মাখায় এনটিনিকে। ২০১১ সালে কেনিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দু’বার হ্যাটট্রিক পাওয়ার কৃতিত্ব দেখান মালিঙ্গা। এছাড়া চামিন্দা ভাস দু’বার, থিসারা পেরেরা ও পারভেজ মারুফ একবার করে হ্যাটট্রিক পেয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ছয় ও ইংল্যান্ডের চার বোলার পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের স্বাদ। ইতিহাসের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার পেসার ব্রছ রেইডের হাত ধরে। এরপর অ্যান্থনি স্টুয়ার্ট, ব্রেট লি, ড্যান ক্রিস্টিয়ান, ক্লিন্ট ম্যাকে ও সবশেষ জেমস ফকনার পেয়েছেন তিন বলে তিন উইকেট।
২০০৩ সালে প্রথম ইংলিশ বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক পান জেমস অ্যান্ডারসন।পাকিস্তানের আব্দুর রাজ্জাক, শোয়েব আকতার ও মোহাম্মদ সামিকে আউট করেছিলেন অ্যান্ডারসন। পরের বছর স্টিভ হার্মিসন ভারতের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের দেখা পান। এছাড়া ২০০৯ সালে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ এবং ২০১৫ সালে স্টিভেন ফিন হ্যাটট্রিক পান। স্টিভেন ফিন ও তাসকিন আহমেদের মধ্যে অদ্ভুত মিল রয়েছে। ডানহাতি এ দুই পেসার ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিকের স্বাদ নেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার তিন হ্যাটট্রিকম্যান হচ্ছেন চার্সল ল্যাঙ্গভেন্ট, জন পল ডুমিনি ও কাগিসো রাবাদা। এছাড়া ভারতের চেতন শর্মা ও কপিল দেব, নিউজিল্যান্ডের ড্যানি মরিসন ও শেন বন্ড, জিম্বাবুয়ের ইদো ব্রানডেস ও প্রসপার উতসেয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেরম টেলর ও কেমার রোচ হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক পেয়েছেন চামিন্দা ভাস ও কাগিসো রাবাদা। ২০০৩ বিশ্বকাপে প্রথম ওভারে শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি এ পেসার আউট করেন হান্নান সরকার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও ইহসানুল হক সেজানকে। ২০১৫ সালে কাগিসো রাবাদা মিরপুরে আউট করেন তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন