সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

১০৮ শব্দসৈনিক মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেলেন

তারাও মুক্তিযোদ্ধা। তবে অস্ত্র হাতে নয়, তারা লড়াই করেছেন সুরে সুরে, শব্দের ঝংকারে। তারা উদ্বুদ্ধ করেছেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের। তারা হলেন মুক্তিযুদ্ধের শব্দসৈনিক। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এবার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন তারা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ১০৮ জন শিল্পীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বুধবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে এখনো বাদ পড়ে গেছেন কেউ কেউ। যাদের নামে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে তাদের মধ্যে ৫০ জনই মৃত। নারী শব্দসৈনিক আছেন ১৮ জন।

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া সবচেয়ে বেশি ২৭ জন শিল্পী ঢাকা জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া কুমিল্লার ১২ জন, চট্টগ্রামের ১০ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মুন্সিগঞ্জের ছয় জন করে, কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জের পাঁচজন করে, সিলেট ও রাজশাহীতে চারজন করে, মাদারীপুর, বরিশাল, গাইবান্ধার তিনজন করে, ফেনী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা ও নীলফামারীর দুজন করে এবং নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, ভোলা, বরগুনা, যশোর, মেহেরপুর, রংপুর, নাটোর, পাবনা একজন করে স্বীকৃতি পেয়েছেন। বর্তমান সরকার রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার নারীদেরও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বীরাঙ্গনারাও এখন মুক্তিযোদ্ধা।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘অনেক দিন পরে হলেও আমরা এই কাজটি করতে পেরেছি। তাদের একটি পাওনা ছিল। আরও অনেক আগেই এই কাজটি করা উচিত ছিল।’ মন্ত্রী জানান, সাংবাদিক কামাল লোহানীসহ সেই সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মীরাই এই তালিকা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এর পরও যদি কারও নাম বাদ যায়, তাহলে সেটাও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, মুক্তিযোদ্ধারা যে ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা পান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী অথবা তাদের উত্তরাধিকাররাও এখন থেকে সে সুযোগ সুবিধা পাবেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে এই বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। যারা স্বীকৃতি পেলেন

ঢাকা জেলা: মৃত সমর দাস, বুলবুল মহলানবীশ, তরুণ কুমার মহলানবীশ, শক্তি মহলানবীশ, ডালিয়া নওশিন, লাকী আকন্দ, মঞ্জুলা দাস গুপ্তা, মৃত অমিতাভ সেনগুপ্ত, মো. কামালউদ্দিন আহমেদ, শারমীন সোনিয়া মুরশীদ, তাজিন মাহনাজ ‍মুরশীদ, মৃত সৈয়দ মোহাম্মদ চাঁন, শীলা ভদ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক, শিপ্রা রায়, মামুনুর রশিদ, মোতাহার হোসেন, নাসিমুল কাদের চৌধুরী, শাহীদ সামাদ, মৃত আবদুল জব্বার খান, রূপা খান (রূপা ফরহাদ) মোজাফফর হায়াত খাত, জাহাঙ্গীর হায়াত খান (রুমু খান), বুলবন ওসমান, ছন্দা ভুঁইয়া জাহরা, মৃত নিতাই চন্দ্র সরকার, মৃত শওকত ওসমান।

মাদারীপুর জেলা: মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন খান, আমির হোসেন ও মঞ্জুর আহমেদ।

শরীয়তপুর: মৃত আবদুল হালিম মিয়া।

রাজবাড়ী: মৃত গোপী বল্লভ।

মুন্সিগঞ্জ: আশফাকুর রহমান খান, শেখ নাসিরউদ্দিন, বাবুল দত্ত, মৃত সরদার আলাউদ্দিন, মৃত এ বি এম মঞ্জুর কাদের (বাবুল আক্তার) এবং মৃত নঈম গওহর।

গোপালগঞ্জ: অনিল কুমার দে ও শহীদ হাসান।

নারায়ণগঞ্জ: মৃত তোফাজ্জল হোসেন শিকদার (টিএইচ শিকদার)।

গাজীপুর: মৃত নিখিল দেব।

নরসিংদী: মৃত মৃন্ময় দাসগুপ্ত।

কিশোরগঞ্জ: মৃত বিপুল ভট্টাচার্য ও মৃত জাহিদ সিদ্দিকী।

কুমিল্লা: মোহাম্মদ ফারুক, মৃত বাদল রহমান, মৃত কাজী হাবিব উদ্দিন আহমেদ মনি, মৃত সৈয়দ আব্দুস শাকের, মো. ফেরদৌস হোসেন ভুঁইয়া ও মোমিনুল হক চৌধুরী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: মৃত রাশিদুল হোসেন, সৈয়দ মহিউদ্দিন হায়দার খোকা, আলী জাকের, শেখ সাদী খান, মৃত তানসেন খান ও মৃত তড়িৎ হোসেন খান।

ফেনী: মৃত আ ন ম গাজীউল হক ও মৃত জহির রায়হান।

চট্টগ্রাম: মৃত বেলাল মোহাম্মদ, সুব্রত বিকাশ বড়ুয়া, সখিনা বেগম, জয়ন্তী ভুঁইয়া, অজয় কিশোর হোড়, দেব চৌধুরী, মৃত আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, মৃত শেফালী ঘোষ, মৃত ননী গোপাল দত্ত ও মিহির লালা।

ভোলা: মৃত শহীদুল ইসলাম।

বরিশাল: অরুণা রাণী সাহা, আসাদ চৌধুরী ও মৃত আলমগীর কবীর।

বরগুনা: অরূপ তালুকদার।

সিলেট: সুজেয় শ্যাম, নাসরিন আহমেদ (জেরিন আহমেদ), অনুপম কুমার ভট্টাচার্য ও মাওলানা শেখ মো. উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী।

বাগেরহাট: সৈয়দ হাসান ইমাম ও লালয়া হাসান।

সাতক্ষীরা: আবু তোয়াব খান ও কাজী রোজী।

যশোর: মৃত মুস্তফা আনোয়ার হোসেন খান।

মেহেরপুর: মৃত শেখ জমিরউদ্দিন।

কুষ্টিয়া: মোহসীন রেজা, মৃত খন্দকার আমিনুল হক বাদশাহ, মৃত খন্দকার এমদাদুল হক (মান্না হক), এম এ মান্নান ও হালিমা জব্বার।

গাইবান্ধা: আশরাফুল আলম মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী ও মৃত টিপু চৌধুরী।

রংপুর: মৃত অজিত রায়।

নীলফামারী: মৃত হরলাল রায় ও রথীন্দ্র নাথ রায়।

নাটোর: আখতার হোসেন।

রাজশাহী: মৃত গোলাম রাব্বানী, কাজী মিসবাহুন নাহার, মো. রেজাউল করিম (রবু) ও মো. রফিকুল আলম।

সিরাজগঞ্জ: কামাল লোহানী, মাজহারুল ইসলাম, মহাদেব সাহা, মৃত গাজী শাহ আলী সরকার ও মৃত ড. মাজহারুল ইসলাম।

পাবনা: কাদেরী কিবরিয়া।

নেত্রকোণা: মাহবুব তালুকদার ও নির্মলেন্দু গুণ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন

জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন

  • শাকিব: আমার ক্যারিয়ারের সব বিগ হিট সিনেমা ঈদ ছাড়াই এসেছে
  • এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯%
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১০ মৃত্যু
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার পরামর্শ কমিশনের
  • দেশের সংকটে যে সমাধান দেখছেন তারেক রহমান
  • যে কারণে প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ‘হেফাজতের আপত্তির মুখে’ নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা বন্ধ
  • স্বর্ণের দামে ফের বড় লাফ, এগোচ্ছে নতুন রেকর্ডের দিকে
  • টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
  • রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
  • যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা