১০ টাকার চাল পাচ্ছেন একই পরিবারের ৭ জন
ঠাকুরগাঁও বালিয়া ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরের চালের তালিকায় একই পরিবারের ৭ সদস্যের নাম থাকায় এলাকার সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে হতদরিদ্র মানুষ ১০ টাকা কেজি দরের চাল নেয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বালিয়া ইউনিয়নের হারুনুর রশিদ: কার্ড নং(৫০০), শিরিনা আক্তার: কার্ড নং(৫০১), জোসনা বেগম: কার্ড নং (৫০২), হাছনা বেগম: কার্ড নং (৫০৩), আইনউদ্দিন: কার্ড নং (৫০৪), আবু হানিফ: কার্ড নং (৫০৫), হাসিবুল: কার্ড নং (৫০৬) এরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য।
এছাড়াও ঠাকুরগাঁও বালিয়া ইউনিয়নের ১০ টাকা চালের তালিকায় একাধিক ব্যক্তির নাম দুইবার করে লেখা হয়েছে। বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতার নাম তালিকায় রয়েছে।
গরীর মানুষের মধ্যে বিতরণের কথা বলে এখন এই চালের বিপণন কার্ড পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের অবস্থা সম্পন্ন নেতাকর্মী, তাদের দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের আত্মীয় স্বজন, নিকটজন এবং তাদের সমর্থক ধনী ও স্বচ্ছল ব্যক্তিরা। এমনকি একই পরিবার থেকে একাধিক ব্যক্তিকে কার্ড দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
বালিয়া ইউনিয়নে ডিলার নিয়োগ থেকে শুরু করে চাল বিতরণের তালিকা প্রণয়ন, কার্ড বিতরণসহ সকল কার্যক্রমে চরমভাবে স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীন দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রভাষক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।
আবার কেউ কেউ কার্ডধারী ব্যক্তি এই চাল দশ টাকা কেজি দরে কিনে বেশি দামে পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
আরো কিছু কার্ড করা হয়েছে এমন ব্যক্তিদের নামে যারা নিজেরাও জানে না তাদের নামে কার্ড হয়েছে। সেই সকল কার্ড চেয়ারম্যান তার আত্মীয়-স্বজন ও কর্মীর মাঝে বিতরণ করেন।
আরো দেখা গেছে, বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের চাচার বৌ গোলাপি বেগম: কার্ড নং (৪৯৭), ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জবায়দুর রহমান: কার্ড নং (১৩২৯), তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন: কার্ড নং (১৩২৮) ছাড়াও আরো অনেক আওয়ামী লীগের নেতার নামে কার্ড হয়েছে।
এ বিষয়ে বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আলম চৌধুরী মুক্তি জানান, যেগুলো কার্ড একাধিক নামে হয়েছে সেগুলো সংশোধন করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে যে কার্ডগুলো হয়েছে সেগুলো ফেরত নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, এসব অনিয়ম দুর্নীতির জন্য তদন্ত দল গঠনপূর্বক যাচাই বাছাই করা হবে। প্রয়োজনে এসব তালিকা পরির্বতনসহ নতুনভাবে ডিলার নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি একাধিক মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ সত্য হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চেয়ারম্যানদের কাছে ইতোমধ্যে তালিকা সংশোধন ও নতুনভাবে কার্ড বরাদ্দের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিত্তবানদের নামে কার্ড ফেরত চেয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বিয়ের প্রলোভন তারপর ধর্ষণ, এখন অন্তঃসত্ত্বা ৭ম শ্রেণির ছাত্রী
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চিলারং ইউনিয়নে ধর্ষণের পর ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বাবিস্তারিত পড়ুন
ঠাকুরগাঁওয়ে নারীকে নগ্ন করে নির্যাতনের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে একবিস্তারিত পড়ুন
মৃত্যুর কাছে হেরে গেল ‘নষ্ট মোল্লা’
১২ ঘন্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরেবিস্তারিত পড়ুন