১০ টাকা কেজির চাল পাচ্ছেন ৫০ বিঘা জমির মালিক!
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ৫০ বিঘা সম্পত্তির মালিক হোসেন মৃধা। দরিদ্র্রদের জন্য দেয়া ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড পেয়েছেন তার ছেলেও। উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের নামেও আছে কার্ড। ওই নেতার দুই ভাই এনামুল ও এমদাদুল, তিন চাচা ওবায়দুল, আব্দুল কুদ্দুস, আলতাব হোসেন, চাচাতো ভাই ময়েজ উদ্দিন ও বাবুর নামেরও আছে সেই কার্ড। শুধু কি তাই। তাদের পরিবারের তিন জামাই এসলাম, আয়নাল হক ও মোকবুল হোসেনও এখন ওই কার্ডের মালিক। অথচ কার্ড পায়নি কার্ড পাননি ওই উপজেলার বিধবার ছেলে ভ্যানচালক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। রাজশাহীতে হত দরিদ্রদের জন্য দেয়া ১০ টাকার কার্ড নিয়ে চলছে চালবাজি। অভিযোগ উঠেছে, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ ও স্বচ্ছল পরিবারকে কার্ড দেয়ার।
সারা দেশের মতো রাজশাহী জেলার আটটি উপজেলায় ৮১ হাজার ৪৮২টি পরিবারকে হতদরিদ্রের খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল দেয়া হচ্ছে। জেলার কোনো কোনো উপজেলায় প্রথম কিস্তির চাল বিতরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আবার দু’একটি উপজেলার নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরে বিতরণ করতে দেরি হচ্ছে। তবে দু’একদিনের মধ্যেই চাল বিতরণ সম্পন্ন হবে।
অভিযোগ পাওয়া যায়, উপজেলার বাকশিমইল ইউনিয়নের ভেটুপাড়া গ্রামের ৫০ বিঘা জমির মালিক হোসেন মৃধার ছেলেও এই কার্ড পেয়েছেন। কিন্তু কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত আব্দুলের বিধবা স্ত্রী নিলুফা এই কার্ডের আওতায় আসেননি। নিলুফার দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে রাজশাহী কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী এক বেলা ভ্যান চালিয়ে কোনো মতে জীবিকা নির্বাহ করেন। আবার ওই গ্রামেরই মৃত বারিকুল্লার প্রতিবন্ধী ছেলে মজিবর রহমানও কার্ড পাননি। কার্ড পাননি ভ্যান চালক মনজুরও। তবে কৃষ্ণপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পেয়েছেন এই কার্ড। তার পরিবারের আরো ১০ জন সদস্যও পেয়েছেন ওই কার্ড। যারা সবাই স্বচ্ছল।
এ ব্যাপারে বাকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল মোমিন শাহ গাবরু ও মৌগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল আমিন বিশ্বাস জানান, ইউনিয়নের মেম্বাররা তালিকা করেছেন। কার্ডে কিছুটা গড়মিল থাকতেও পারে। আগামীতে প্রকৃত দরিদ্রদেরই এই চাল দেয়া হবে।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, দারিদ্র বিমোচনে বর্তমান সরকারের একটা মহতি পদক্ষেপ। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনও এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে জানা গেছে, প্রতিটি ইউনিয়নে দুই জন করে ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৮১ হাজার ৪৮২টি কার্ডের বিপরীতে ডিলার রয়েছে ১৪৪ জন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বরিশালে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
বরিশাল নগরীর সাগরদী এলাকা থেকে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূরবিস্তারিত পড়ুন
বরিশাল মহানগর বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়েছে বিদ্রোহীরা
বরিশাল মহানগর যুবদলের কমিটিতে স্থান না পাওয়াই বিএনপি অফিসে তালাবিস্তারিত পড়ুন
বরিশালে স্ত্রীকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন, গরম রড দিয়ে শরীরে ছ্যাকা, ক্ষতস্থানে গুঁড়া মরিচ ও লবণ !
বরিশাল : জেলার গৌরনদী উপজেলার শরিফাবাদ গ্রামে স্ত্রীকে শিকল দিয়েবিস্তারিত পড়ুন