১২ বছরের অসুস্থ ফিলিস্তিনি শিশুকে জবাই!
সিরিয়া-ভিত্তিক তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘হারাকাত নুরুদ্দিন আল জঙ্গি’ আলেপ্পোর হান্দারাত ক্যাম্পে ১২ বছরের এক ফিলিস্তিনি অসুস্থ শিশুকে জবাই করে তার স্থির ও ভিডিও-চিত্র প্রকাশ করেছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) প্রকাশিত ওই ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে আবদুল্লাহ আল ঈসা নামের এই আহত শিশুর হাতে পরানো রয়েছে আইভি টিউবিং বা শিরার মধ্যে স্থাপিত টিউব। সে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীরা আতঙ্কগ্রস্ত এই শিশুকে একটি ট্রাকে উঠিয়ে গলা-কেটে হত্যা করে ও সে সময় ‘আল্লাহু আকবার’ (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) বলে চেঁচিয়ে ওঠে। তারা বলছিল, হান্দারাত এলাকায় আমরা কাউকে জীবিত রাখব না।
সন্ত্রাসীদের একজন চিৎকার করে বলছিল, ‘(আসাদ) সে আমাদের জন্য আজ এক শিশু পাঠিয়েছে, তার কাছে আর পুরুষ নেই।’
তাকফিরি গোষ্ঠী ‘হারাকাত নুরুদ্দিন আল জঙ্গি’ সিরিয়ার আসাদ সরকারকে উৎখাতের জন্য লড়াই করছে।
ওই গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ঈসাকে হত্যার কারণ দেখিয়ে বলা হয়েছে এই শিশু ছিল হান্দারাত ক্যাম্পের ‘আল কুদস বা জেরুজালেম ব্রিগেডের’ সেনা-সদস্য। এই ব্রিগেড আসাদ সরকারের পক্ষে লড়াই করছে।
সামাজিক নেটওয়ার্কে প্রচারিত তথ্যে জানা গেছে, আল ঈসাকে আলেপ্পোর উত্তরে হান্দারাত ক্যাম্পের একটি হাসপাতাল থেকে কয়েক দিন আগে অপরহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। ঈসা ছিল আল কুদস ব্রিগেডের একজন সদস্যের সন্তান।
ফিলিস্তিনের জেরুজালেম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ঈসা তাদের যোদ্ধা ছিল না এবং সে ছিল অসুস্থ। শিশুর দিকে একবার দৃষ্টি দিয়েই তাকে যোদ্ধা বলে দাবি করা অগ্রহণযোগ্য। সে আলেপ্পোয় তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত আরও কিছু দরিদ্র পরিবারের সঙ্গে। আলেপ্পোর ওই এলাকাটি রয়েছে সন্ত্রাসীদের দখলে।’
এদিকে আলজাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, ‘হারাকাত নুরুদ্দিন আল জঙ্গি’ এই শিশুকে ভুলক্রমে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তারা দাবি করেছে যে তাদের গোষ্ঠীর কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে এবং এই ঘটনার সঙ্গে তাদের আন্দোলনের নীতিমালার কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে আলজাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, ‘হারাকাত নুরুদ্দিন আল জঙ্গি’ এই শিশুকে ভুলক্রমে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তারা দাবি করেছে যে তাদের গোষ্ঠীর কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে এবং এই ঘটনার সঙ্গে তাদের আন্দোলনের নীতিমালার কোনো সম্পর্ক নেই।
মার্কিন সরকার ‘হারাকাত নুরুদ্দিন আল জঙ্গি’ নামের আসাদ বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে প্রকাশ্যেই সাহায্য ও সমর্থন দিয়ে এসেছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, তুর্কি ও কয়েকটি আরব সরকারও এই গোষ্ঠীকে সামরিক এবং আর্থিক সাহায্য দিয়ে এসেছে। মার্কিন সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন শিশু হত্যার এই ঘটনা সত্য বলে প্রমাণিত হলে আমরা অবশ্যই এই গোষ্ঠীকে সাহায্য দেয়া বন্ধ করে দেব।
চলতি মাসের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে বলেছিল, সিরিয়ার ‘হারাকাত নুরুদ্দিন আল জঙ্গি’ গোষ্ঠীসহ অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী দেশটির গৃহযুদ্ধে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ-অপরাধে জড়িত হয়েছে এবং তারা আন্তর্জাতিক মানবিক নীতিমালাও লঙ্ঘন করেছে বহুবার। এইসব অপরাধের মধ্যে নির্যাতন ও অপহরণও রয়েছে। খবর- রেতে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন