‘১৫ আগস্ট কেক কাটলে খালেদাকে পাকিস্তানে পাঠাবে জনগণ’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীতে কেক কেটে উল্লাস করলে বাংলার জনগণ খালেদা জিয়াকে তার প্রভুর দেশ পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেবে।’ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার দশম বার্ষিকীতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এই সভার আয়োজন করে। সিরিজ বোমা হামলার সময়কার সরকার প্রধান খালেদা জিয়ার উদ্দেশে হানিফ বলেন, ‘এই দেশে থাকতে হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করতে হবে। স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে মানতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে মিথ্যা জন্মদিনে কেক কাটার আগে এই কথাটি মনে রাখবেন। না হলে বাংলার জনগণ সমুচিত জবাব দেবে। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে গোটা জাতি শোকে মুহ্যমান, সে সময় উনি কেক কেটে উল্লাস করে জম্মদিন পালন করছেন। তাও আবার মিথ্যা জন্মদিন।’ ‘৭০ বছর বয়সি নারী হিসেবে জম্মদিনে উল্লাস করে কেক কাটার জন্য আপনার লজ্জা হওয়া উচিত’, বলেন হানিফ।
পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে খালেদা জিয়া মিথ্যা জন্মদিন পালন করে যাচ্ছেন, এ দাবি করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘উনি মানুষ নন, পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। বিএনপির যেসব নেতারা তার সঙ্গে কেক কেটে এমন উল্লাস করছেন, তারাও পাকিস্তানের প্রেতাত্মায় পরিণত হয়েছেন।’ দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হানিফ বলেন, ‘একাত্তর ও পঁচাত্তরের খুনিরা এখনো সক্রিয় আছে। ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এদের নেতৃত্বে কেউ ঢাকায়, কেউ লন্ডনে, কেউ পাকিস্তানে বসে ষড়যন্ত্র করছে। এদের শুধু প্রতিরোধ নয়, প্রতিহত করতে হবে।’
আলোচনাসভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘এরা শুধু একটা গোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য ১৫ আগস্ট কেক কাটে। সেই গোষ্ঠী হলো- যুদ্ধাপরাধী আর বঙ্গবন্ধুর খুনি।
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আরো বলেন, ‘একদিন দিন আসবে।সেই দিন বেশি দূরে নয়।এখন তো অনেক কিছু থেকেই সরে গেছেন।একদিন ১৫ আগস্ট কেক কাটা থেকেও সরে যেতে হবে।এই দিন কেক কাটবেন আর বাংলার মানুষ বসে থাকবে সেটা আর হবে না। এই বয়সে সাজসজ্জা করে কেক কাটা আপনার মানায় না। বাংলার জনগণ এই কেক কাটা দেখে ছি ছি করে।তারা মনে করছেন, এই মহিলা হয়ত পাগল, নাহয় মতলবি।’
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এই বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান হবে না।এই দেশকে আল-কায়েদার চারণভূমি হতে দেওয়া হবে না।জঙ্গিবাদের হুকুমদাতা, অর্থদাতা, জোগানদাতা- প্রত্যেকের বিচার আমরা করব।’ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, বজলুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজ।
আমাদের কন্ঠস্বর/ঢাকা/ ১৭ আগস্ট ২০১৫
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন