মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই গোপন করেছে বদরুল !

সিলেটের এমসি কলেজে খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী চতুর ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেছে। আর এই সব তথ্য গোপন করে সে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা চালিয়েছে। এতে মামলার তদন্ত ও ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আইনবিদ অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ঘটনার কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জবানবন্দিতে গোপন করে থাকলে আবার সম্পূরক জবানবন্দি নেয়া যেতে পারে। নতুবা ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হওয়ার শংকা থেকে যায়।

হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত শুরু করেছে শাহপরাণ থানা পুলিশ। আসামি বদরুলের নাম-ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য ছাতক থানায় ইএস পাঠিয়েছে পুলিশ। এছাড়া ওসমানী হাসপাতাল ও স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে খাদিজার চিকিৎসাপত্র (এমসি) দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে। খাদিজাকে উদ্ধারকারী যুবক ইমরান ও জুনেদকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হারুন উর রশিদ। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেয়ার কাজ চলছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আটক ও গ্রেফতারের পর সাংবাদিক, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের কাছে বদরুল যে বক্তব্য দিয়েছিল তার সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই মিল নেই ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দির। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আগে বলে গেলেও ১৬৪ ধারার সময় তা গোপন করে সে। বদরুলের একটি অডিও রেকর্ড ও জবানবন্দি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

অডিওর বক্তব্য অনুযায়ী, খাদিজাকে হত্যার পরিকল্পনা ও পূর্ব প্রস্তুতি ছিল বদরুলের। এ লক্ষ্যেই আম্বরখানা থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে চাপাতি কিনে। কিন্তু ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে হত্যার উদ্দেশ্যে এবং ২৫০ টাকা দিয়ে চাপাতি কেনার বিষয়টি আড়াল করে বদরুল। ২০১২ সালে খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করতে গিয়ে গ্রামবাসীর গণপিটুনির শিকার হওয়ার বিষয়টি ঘুণাক্ষরেও উল্লেখ করেনি। অথচ ওই ঘটনাকে ব্যবহার করে জামায়াত-শিবিরের হামলা দেখিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে সে। বাগিয়ে নেয় ছাত্রলীগের পদ-পদবি। কিন্তু আদালতের কাছে সে উল্টো দাবি করে- খাদিজার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছাত্রলীগের পদে থাকার তথ্যও আদালতকে জানায়নি সে। ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ২০০৯-২০১০ সালের ঘটনা থেকে বর্ণনা শুরু করে বদরুল। এরপর সোজা চলে আসে ২০১৬ সালে।

বদরুল খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি এড়িয়ে গেছে পুরো জবানবন্দিতে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বারবার সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে খাদিজার সঙ্গে ‘প্রেম’ ছিল তার। গ্রেফতারের পর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় খাদিজার সঙ্গে যুগল ছবি, সেলফি, অডিও-ভিডিও বদরুলের রয়েছে কিনা, তা প্রাথমিকভাবে যাচাই করে দেখা হয়। বদরুল তখন এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণই উপস্থাপন করতে পারেনি পুলিশ ও গোয়েন্দাদের কাছে।

খাদিজার স্বজনরা বলছেন, প্রেম নয়, সেই সময়ের স্কুলপড়ুয়া কিশোরী খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করত বদরুল। নানাভাবে ফুসলিয়ে না পেরে হুমকি দিয়ে চেষ্টা করেছিল প্রেমে বাধ্য করতে। সর্বশেষ সোমবার পরীক্ষার সময় পানীয় পাঠায় বদরুল। কিন্তু তা পান করেনি খাদিজা, এমনকি স্পর্শও করেনি। স্বজনদের মতে, লম্পট বদরুল নিজেকে রক্ষায় খাদিজাকে প্রেমিকা দাবি করছে। তারা প্রশ্ন করেন, চাপাতির এমন কোপ কি প্রেমের পরিচয় দেয়?

অডিওতে বদরুল নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক পরিচয় বারবার দিয়েছে। তবে ১৬৪ ধারার সময় বিষয়টি উল্লেখই করেনি। শুধু তাই নয়, বদরুলের ব্যাপারে খোদ তার পরিবার, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংগঠনের নেতাকর্মীরাও এখনও অনেক অন্ধকারে রয়েছে। কারণ মিথ্যাচার, সাজানো কাহিনীর মাধ্যমে সত্য গোপনে সে পটু।

বুধবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম উম্মে শারাবান তহুরার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বদরুল।

অভিনব কায়দায় যেভাবে ছাত্রলীগ নেতা হয় বদরুল : সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মুনিরজ্ঞাতি গ্রামের নিু আয়ের পরিবারের চার সন্তানের মধ্যে বদরুল দ্বিতীয়। ভাই-বোনদের মধ্যে সবচেয়ে মেধাবী সে। টানাপোড়েনের সংসারে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তি পাওয়ার পাশাপাশি এসএসসি ও এইচএসসিতেও ভালো ফল করে সে। ভর্তি হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশে মাঝে মাঝে যোগ দিত।

২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করতে গেলে গ্রামবাসী তাকে গণপিটুনি দেয়। কিন্তু বদরুল সবাইকে জানায়, জামায়াত-শিবির তার ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে সিলেটের জালালাবাদ থানায় স্থানীয় শিবিরকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বদরুল। আর এরপর থেকে বনে যায় ছাত্রলীগ নেতা। তাকে অনুসারী হিসেবে কাছে টেনে নেন শাবি ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ। চলতি বছরের ৮ মে ছাত্রলীগের কমিটিতে বদরুলকে এক নম্বর সহ-সম্পাদক করা হয়। অথচ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছাতকের আয়াজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে চাকরি নেয় বদরুল।

ওই গণপিটুনির পর বদরুল তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সহানুভূতিও পায়। বদরুলকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় চিকিৎসা করানো হয়। তখন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছাপা হয়, ‘শিবিরের হামলায় রঙিন স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে বদরুলের’, ‘পঙ্গু হতে চলেছেন বদরুল’ ইত্যাদি শিরোনামে নানা প্রতিবেদন। এমনকি মিথ্যাচার ও অভিনয়ে শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকেও বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয় বদরুল। কলম ধরেন তিনি। লিখেন, ‘মেধাবী বদরুল আর হাঁটতে পারবে না?’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন

জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন

  • শাকিব: আমার ক্যারিয়ারের সব বিগ হিট সিনেমা ঈদ ছাড়াই এসেছে
  • এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯%
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১০ মৃত্যু
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার পরামর্শ কমিশনের
  • দেশের সংকটে যে সমাধান দেখছেন তারেক রহমান
  • যে কারণে প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ‘হেফাজতের আপত্তির মুখে’ নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা বন্ধ
  • স্বর্ণের দামে ফের বড় লাফ, এগোচ্ছে নতুন রেকর্ডের দিকে
  • টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
  • রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
  • যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা