১৯ রাজাকারের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ গ্রহণ করেননি ট্রাইব্যুনাল
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজারের মহেশখালীর বিএনপির প্রাক্তন সংসদ সদস্য আব্দুর রশিদ মিয়াসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করেননি আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মৃত আসামি জিন্নাত আলীর নাম আনুষ্ঠানিক অভিযোগে থাকায় ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ না করে আগামী ২৩ র্মাচ পুনরায় দাখিলের জন্য প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে জিন্নাত আলীর নাম ফরমাল চার্জ থেকে বাদ দিতে বলেছেন।
বুধবার সকালে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত ও প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম।
প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ট্রাইব্যুনালকে বলেন, মৃত আসামি জিন্নাত আলী সব অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এ কারণেই তার নাম আনুষ্ঠানিক অভিযোগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে আদালত চাইলে অভিযোগ আমলে নেওয়ার সময় তার নাম বাদ দিতে পারেন।
তিনি জানান, ট্রাইব্যুনাল তাদের এ যুক্তি আমলে না নিয়ে জিন্নাত আলীর নাম বাদ দিয়ে পুনরায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করতে বলেন।
ট্রাইব্যুনাল একই মামলায় নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া আসামি রমিজ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাো জারি করেছেন।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর ১৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। ওই দিনই তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউটর কার্যালয়ে দাখিল করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তরকরণ ও দেশান্তরকরণসহ মানবতাবিরোধী ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলার আসামিরা হলেন- মৌলভী জকরিয়া শিকদার(৭৮), মো. রশিদ মিয়া (৮৩), অলি আহমদ (৫৮), মো. জালাল উদ্দিন (৬৩), মোলভী নুরুল ইসলাম (৬১), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল (৬৩), মমতাজ আহম্মদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), মোলভী আমজাদ আলী (৭০), মৌলভী আব্দুল মজিদ (৮৫), বাদশা মিয়া (৭৩), ওসমান গণি (৬১), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), মোলভী সামসুদ্দোহা (৮২), মো. জাকারিয়া (৫৮), মো. জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী (৫৮), মোলভী জালাল (৭৫) ও আব্দুল আজিজ (৬৮)।
এদের মধ্যে সালামত উল্লাহ খানসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সানাউল হক বলেন, ট্রাইব্যুনালে যতগুলো মামলা এসেছে, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় মামলা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. নূরুল ইসলাম ২০১৪ সালের ১২ মে থেকে চলতি বছরের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের অপরাধের তদন্ত শেষ করেন। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে মূল ১৬১ পৃষ্ঠার সঙ্গে সর্বমোট ৪৩৯ পৃষ্ঠার নথিপত্র রয়েছে। প্রতিবেদনে ৬০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচি এবং ঘটনাস্থলের স্থির চিত্র দাখিল করা হবে প্রসিকিউশনে।
তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে মোট ঘটনা ১৩টি। এর মধ্যে হত্যার ৯৪টি, নারী নির্যাতন অসংখ্য এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ব্যাপক। মামলায় মোট ১২৬ জন সাক্ষী রয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন
কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন
উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন