‘২০০৭ সালে শচিনই আমাকে অবসর নিতে দেয়নি’
২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের ৩০ সদস্যের স্কোয়াডেও জায়গা না পাওয়ার পর বলেছিলেন জাতীয় দলে ফেরার লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি, আর দুবছরের আগে মাথায় আনবেন না অবসর ভাবনা। অবশেষে মাস পরেই মেনে নিলেন হার
অক্টোবরের ১৯ তারিখ ইঙ্গিতটা দিয়েই রেখেছিলেন বীরেন্দর শেবাগ দ্য কুইন্টকে বলে দিয়েছিলেন – ‘আমি খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেবো।’ আর সেই চুড়ান্ত ঘোষণাটা বীরেন্দ্র শেবাগ দিয়ে দিলেন মঙ্গলবারই; নিজের ৩৭ তম জন্মদিনে। টুইটারে নিজের অবসরের ঘোষণা জানিয়ে দেন তিনি।
আধুনিক যুগের এই ‘ভিভ রিচার্ডসন’ ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন সময়েই অবসর নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেই সময় তাকে অবসর নিতে দেননি ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকার। অবসরের পর এমনটাই জানালেন শেবাগ।
বুধবার জি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে শেবাগ বলেন, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়ই চায়, নিজের ক্যারিয়ারের সব থেকে ভালো সময়েই অবসর নিতে। আমিও সেরকম রাজকীয়ভাবে বিদায়ী ভাষণ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্য আমার জন্য আগে থেকেই অন্য কিছু ঠিক করে রেখেছিল। আর সেই সময় শচিনই আমাকে অবসর নিতে দেয়নি।’
শুধু ২০০৭-ই নয়, ২০১৩-র মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে বাদ পড়ার পর আরেকবার অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৩-র অস্ট্রেলিয়া সিরিজ চলাকালীন তার অবসর নিয়ে কোনও প্রশ্ন করেনি বোর্ডের কর্তারা।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচকমন্ডলী একবারও জিজ্ঞাসা করেনি, আমি ভবিষ্যত নিয়ে কী ভাবছি। সেই সময় তারা যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করতো, আমি অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিতাম।’
যদিও, বিসিসিআই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ এবং ফাইনাল ম্যাচে ফিরোজ শাহ কোটলায় শেবাগকে বিদায় সম্বর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সেখানে বিদায়ী ভাষণও দিতে পারবেন তিনি।
কিন্তু তার এই জৌলুসহীন অবসরে খুশি নন তাঁর পরিবারের লোকজন। তিনি বললেন, ‘এই ব্যপারটি তার কাছে সেরকম দাগ না কাটলেও, তার ছেলেরা কষ্ট পেয়েছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, অবসর নিলেও ক্রিকেটের সঙ্গে কখনও তার যোগসূত্র ছিন্ন হবে না। এখন ক্রিকেট ছাড়লেও যুক্ত থাকতে চান এই খেলাটির সঙ্গেই। আগামীতে কোচ অথবা ধারাভাষ্যকার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান তিনি।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেও শেবাগ খেলবেন মাস্টার্স চ্যাম্পিয়ন লিগে (এমসিএল)। এমসিএল হল সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক একটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ২০১৬ সালে আয়োজনের অপেক্ষায় থাকা এই টুর্নামেন্টে দেখা যাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাতানো নব্বই জন সাবেক ক্রিকেটারকে। ছয়টি দলে ভাগ হয়ে তারা খেলবেন, প্রতি দলের স্কোয়াডে থাকবেন ১৫ জন করে ক্রিকেটার।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন