মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

২০২০ সালে দেউলিয়া হবে সৌদি আরব

চলতি মাসের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল(আইএমএফ) ব্রেইটবার্ট নিউজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তেলের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনায় বসে। ব্রেইটবার্ট নিউজ যতটা গণমাধ্যম তার চেয়েও বেশি একটি গবেষণা সংস্থা, যে কারণে এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গেই অর্থনৈতিক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয় আইএমএফের নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাদের। এই আলোচনা থেকে এক ভয়াবহ সংবাদ উঠে আসে যে, আগামী পাঁচ বছর পর অর্থাৎ ২০২০ সাল নাগাদ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদিআরব।

প্রতি বছর অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল তার বিশ্ব অর্থনৈতিক এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনার রিপোর্ট প্রকাশ করে। সর্বেশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৬০ সালের পর থেকে এবারই প্রথম ওই অঞ্চলটি অর্থনৈতিক সমস্যায় পরতে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সৌদি আরবের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ এতটাই অবনতির দিকে যাচ্ছে যে, ক্রমশ বর্হিদেশিয় সম্পদ বিক্রি করতে হচ্ছে সৌদি ধনকুবেরদের।

আইএমএফ’র পক্ষ থেকে এই বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে সৌদি রাজপরিবারের সদস্যদের অর্থনৈতিক কাঠামোকেই দায়ি করা হচ্ছে। তাদের হিসেব অনুযায়ী, সৌদি রাজপরিবারের ছয়টি শাখার মোট পনেরো হাজার সদস্য রাষ্ট্রীয় বাজেটের বৃহদাংশ ভোগ করে। অর্থাৎ তারা জাতীয় বাজেটের জন্য রাখা অর্থকে বিভিন্ন খাত ঘুরিয়ে নিজেদের প্রয়োজনে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যয় করছে। আর এই ব্যয় সংকোচনের জন্য এবং বাজেট ঘাটতি কমানোর উদ্দেশ্যে গত বছর থেকেই তারা তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০৩ ডলার নির্ধারণ করেছে। যা সাবেক বছরগুলোর তুলনায় বেশি।

শুধুমাত্র জাতীয় আয়ের উপর সৌদি রাজপরিবারের সদস্যরাই প্রকারান্তে নির্ভরশীল। দেশটির মোট ৩০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠি বিভিন্নভাবে এই তেলের অর্থের উপর নির্ভরশীল। কারণ এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের নেই নিজস্ব দক্ষ কর্মী বাহিনী এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের নেই কোনো কর্ম অভিজ্ঞতা। বর্হিদেশিয় শ্রমিকদের দ্বারাই দেশিয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন করপোরেট বাণিজ্য নিয়ন্ত্রন করে সৌদি রাজপরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও সৌদি সরকারের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে প্রায় তিন মিলিয়ন সরকারি চাকরি ক্ষেত্র। আর এই বিশাল সংখ্যা দেখে সহজেই বোঝা যায় যে, সৌদি আরবে সরকারি সেক্টরের তুলনায় বেসরকারি সেক্টর খুব কম। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতেও সরকারি সেক্টর বেশি বেসরকারি সেক্টরের তুলনায়, কিন্তু সেক্ষেত্রে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনের ভেতর দিয়ে দক্ষ শ্রমিক তৈরি থেকে শুরু করে জাতীয় অর্থনীতির বিকাশ ঘটে। কিন্তু সৌদি আরবে পরিশ্রমবিমুখ তেল অর্থনীতির উপর দাড়ানোর কারণে জাতীয় অর্থনীতির বিকাশ ঘটেনি।

আইএমএফ’র রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সৌদি সরকার কয়েকদফায় ব্যায় সংকোচন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। নতুন বাদশা হিসেবে সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সাউদ তার জনগণের উদ্দেশ্যে ৩২ বিলিয়ন ডলার বিতরণ করেন। যে কারণে আইএমএফ প্রত্যক্ষ করেছে যে, এই কারণে সৌদি সরকার তাদের জাতীয় রিজার্ভ থেকে অর্থ ঘাটতিতে পরতে পারে। আগামী অর্থ বছরের শুরুতে তাহলে জাতীয় উদ্বৃর্তের হার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে যাবে। ২০১৫ সালেই অবশ্য ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ কমে গেছে।

চলতি বছরেই সৌদি আরবের কেন্দ্রিয় ব্যাংক রিপোর্ট করে যে, আগস্ট মাস নাগাদ বর্হিদেশে থাকা রাষ্ট্রীয় সম্পদের মূল্য অনেক কমে গেছে, যার মূল্য আগে ছিল প্রায় ৬৬২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি বছর থেকে সেটা গিয়ে দাড়াতে পারে আনুমানিক দেড়শ বিলিয়ন ডলারে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মুদ্রা তহবিল সংস্থাগুলো অনুমান করছে, ২০২০ সাল আসার আগেই সৌদি আরবকে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলারে আনতে হতে পারে। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণ মতে, যখনই সৌদি আরব ব্যারেল প্রতি তেলের দাম কমাতে শুরু করবে তখনই পার্শ্ববর্তী দেশ ইরান ও লিবিয়া তাদের কমমূল্যের অপরিশোধিত তেল নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সৌদি আরবের পাশাপাশি দাড়িয়ে যাবে(যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের সাম্প্রতিক চুক্তি সেদিকেই ইঙ্গিত করে)। তবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য মতে, তেলের বাজারে কয়েক বছরের মধ্যেই ইরাক প্রবেশ করতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়গুলোকে সৌদি আরব বেশ কয়েকটি যুদ্ধে জড়িয়ে পরেছে। এই যুদ্ধগুলোতেও প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে সৌদি রাজপরিবারকে। কিন্তু সেই ব্যয় মেটাতে তেলের দাম বাড়িয়ে অর্থ উঠিয়ে নেয়ার যে চেষ্টা সৌদি কর্তৃপক্ষ চালাচ্ছে, তাতে আখেরে নিজেদেরই ক্ষতি করছে তারা। কারণ তেলের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকলে আন্তর্জাতিক শেয়ার বাজারে শেয়ারের দামও ক্রমশ বাড়তে থাকবে। আর দেশিয় শেয়ারের দাম বাড়লে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং সম্পদের শেয়ারের দাম অনেক কমে যাবে। সেক্ষেত্রে চাইলেও বর্হিবিশ্বের সম্পদ ক্রমশ হাতছাড়া হয়ে যাবে সৌদি আরবের।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে স্বৈরাচারী শাসক বললেন ট্রাম্প

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি ছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

  • ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা