২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: সাক্ষ্য দিলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৩ ও ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ (অস্থায়ী এজলাস) এর বিচারক শাহেদ নুরু উদ্দিন এ দিন ধার্য করেন। গতকাল মঙ্গলবার ১৯৫তম সাক্ষীর আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করার পর আজ সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়।
ইতিমধ্যে জজ মিয়াসহ মামলার ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।
এ মামলায় জামিনে থাকা আসামিরা হলেন- লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, প্রাক্তন আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা প্রাক্তন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম।
প্রাক্তন মন্ত্রী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২৫ জন বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন।
অন্যদিকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির প্রাক্তন সাংসদ কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন।
তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মীসহ কয়েকশ লোক আহত হন।
এ ঘটনায় মতিঝিল থানার এসআই ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ২০০৮ সালের ১১ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র এএসপি ফজলুর কবির মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ৯ জুন পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য নেন ট্রাইব্যুনাল।
২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই প্রথম অভিযোগপত্রের ২২ আসামি এবং তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে অভিযোগপত্র দেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন