২৪ ঘণ্টা সেবা দিতে দুদকে হেল্পডেস্ক

২৪ ঘণ্টা দুর্নীতি সম্পর্কিত যেকোনো সেবা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চালু হচ্ছে হেল্পডেস্ক।
যেখানে থাকবে তিন ডিজিটের হটলাইন নম্বর। ওই নম্বরে কোনো সার্ভিস চার্জ ছাড়াই দুদকের তফসিলভুক্ত যেকোনো অপরাধের সরাসরি অভিযোগ ও পরামর্শ নেওয়া যাবে।
একই ধরনের সেবা পাওয়া যাবে ই-মেইল সার্ভিস ও এসএমএসের মাধ্যমে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারের মাধ্যমেও দুর্নীতি বিষয়ে যেকোনো সেবা পাওয়া যাবে।
হেল্পডেস্কে চাইলে যে কেউ অভিযোগের প্রক্রিয়া, আইনি সহায়তা ও পরামর্শ, আসামির অবস্থান এবং অভিযোগ করে প্রতিকার না পাওয়াসহ বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তাফা কামাল বলেন, এ বিষয়ে কমিশনে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বাস্তবায়নে সময় লাগবে। এখনো অনেক কাজ বাকি। এর সঙ্গে বাজেট, লোকবলসহ প্রযুক্তিগত অনেক বিষয় জড়িত।
হটলাইনের কাঠামো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাঠামো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।
এ বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, এ উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে দুদক থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে তিন ডিজিটের নম্বর চাওয়া হয়েছে। আর এই নম্বরে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে টেলিফোন ও মোবাইলে কোনো রকম সার্ভিস চার্জ ছাড়াই সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক এই সেবা দিতে দিনের ২৪ ঘণ্টাকে ভাগ করে হেল্পডেস্কে তিন শিফটে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। যারা হটলাইনে সেবাগ্রহীতার ফোন, ই-মেইল ও এসএমএসের উত্তর দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন-ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদির মাধ্যমে সেবা পাওয়া যাবে।
হেল্পডেস্ক কাঠামোর বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, দুদক সচিব কাঠামোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। যার অধীনে দুদকের একজন মহাপরিচালক, একজন সিস্টেম এনালিস্ট বা একজন পরিচালক ও ৩০ সদস্য বিশিষ্ট যোগাযোগ ইউনিট কাজ করবে। অভিযোগকারী বা সেবাগ্রহীতার দুদকের তফসিলভুক্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান বা অভিযোগ গ্রহণ করা এই যোগাযোগ ইউনিটের প্রধান কাজ হবে। এ যোগাযোগ ইউনিটে ফোন বা মোবাইল সার্ভিসের জন্য ১৫ জন, ই-মেইল সার্ভিসের জন্য তিনজন, এসএমএস সার্ভিসের জন্য তিনজন, সামাজিক মাধ্যমে সেবা দেওয়ার জন্য তিনজন কর্মী তিন শিফটে কাজ করবে। টোটাল সার্ভিস দেখভালের জন্য তিন সদস্যের একটি মেইনটেনাস টিম কাজ করবে। তথ্য সংরক্ষণের কাজে সার্বক্ষণিকভাবে ৩ সদস্যের একটি টিম তথ্য সেলের দায়িত্ব পালন করবেন। তবে কাঠামো এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা যায়।
এ প্রসঙ্গে দুদকের সিস্টেম এনালিস্ট রাজিব হাসান বলেন, সম্প্রতি কমিশন থেকে হটলাইন বিষয়ে অনুমোদন পাওয়ার পর অবকাঠামোসহ অন্যান্য সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ চলছে। হটলাইন নম্বরটি হবে ৩ ডিজিটের। আশা করি এই সুবিধা দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ কাজকে আরো এগিয়ে যাবে।
দুর্নীতি প্রতিরোধ তিন স্তরের পরিকল্পনার তথ্য উপস্থাপন করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ার পরে কাউকে শাস্তি দেওয়ার চেয়ে দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করাই উত্তম। তাই বর্তমান কমিশন স্বল্প-মেয়াদি, মধ্য-মেয়াদি ও দীর্ঘ-মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে কাজ করবে। একই সঙ্গে দুদকে সেবাদান পদ্ধতি সংস্কারের মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে চায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তারেক রহমান: আগে ভারতীয় শিল্পী আসতো, এখন পাকিস্তান থেকে আসে
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দেশি শিল্পীদের উপেক্ষা করে ভারত ও পাকিস্তানবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচন নিয়ে সরকারের এত গড়িমসি কেন, প্রশ্ন রিজভীর
“নির্বাচন নিয়ে সরকারের এত গড়িমসি কেন”, এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপিরবিস্তারিত পড়ুন

সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন