২৮ বছরের ফিল্ম ক্যারিয়ারে এমন নোংরামি কখনো দেখিনি: ওমর সানী
ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের সাড়া জাগানো চিত্রনায়ক ওমর সানী। বহু হিট সুপার হিট চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে ওমর সানি ছিলেন তরুণদের ক্রেজ। সে সময় মৌসুমী-ওমর সানী জুটির কোন ছবি রিলেজ হলে সমর্থক গোষ্ঠীর মাঝে যুদ্ধের দামামা বেজে যেত।
তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে চাঁদের আলো, কুলি, দোলা ইত্যাদি। সানী ১৯৯৬ সালের ২ আগষ্ট চিত্রনায়িকা মৌসুমী এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির ফারদিন এহসান স্বাধীন (পুত্র) এবং ফাইজা (কন্যা) নামে ২টি সন্তান রয়েছে।
ওমর-সানীর-সঙ্গে-তারা-তিনজন-কে-
গেলো দু’বছর ধরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অসুস্থ-বিপদগ্রস্ত শিল্পীদের সহযোগিতায় সবসময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ওমর সানি। আগামী ৫ই মে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন তিনি। নির্বাচন ও নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ওমর সানী।
এই নির্বাচনকে ঘীরে প্রচারণার ধরণ সম্পর্কে ওমর সানী বলেন, অনেকেই বলেছেন শিল্পীদের জন্য জমি করে দেব, আবাসন ব্যবস্থা করে দেব। আমি হিসেব করে দেখলাম, এত কিছু আমার পক্ষে করে দেয়া সম্ভব না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোনো শিল্পী যদি সমিতির নামে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন তবে আমি সভাপতি নির্বাচন করবো না! কারণ আমি তো এত টাকা দিতে পারব না। কেউ যদি শিল্পীদের জন্য ৫০ লাখ টাকা দেন, তবে তারই সমিতির দায়িত্ব নেয়া দরকার। মিআ সেটাই মনে করি।
কেউ কি এমনটা করছেন? এ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি কারো নাম উল্লেখ করতে চাই না। তবে দীর্ঘ ২৭-২৮ বছরের ফিল্ম ক্যারিয়ারে এমন নোংরামি কখনো দেখিনি। শিল্পীদের নির্বাচনে রাজনৈতিক বা অন্যান্য বাইরের প্রভাব আশা কতটা যৌক্তিক তা আমি জানিনা। নিজের প্যানেলের কোনো কাউকে জোর করে প্রার্থী করিনি। কিন্তু এমন ঘটনাও ঘটেছে, আমার প্যানেলে নির্বাচন করার কথা, কিন্ত পরে আর কথা রাখেননি। এক্ষেত্রে বাইরের চাপ ভূমিকা রেখেছে বলে শুনেছি। ক্যারিয়ারে অনেক হিট সুপারহিট ছবি রয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে কখনো অহংকার করিনি। মনে আছে বিয়ের সময় শুধু মাত্র ব্যান্ডপার্টি বাজিয়েছিলাম। জন্মদিন কিংবা অন্য যেকোনো উৎসবে ব্যান্ড পার্টি বাজাইনি। শিল্পীদের মধ্যে এ রাজনীতি বা বিভাজন কারা আনছেন তা দেখা দরকার।
সভাপতি নির্বাচিত হলে ওমর সানী কী ধরনের ভূমিকা রাখবেন, এবিষয়ে ওমর সানী জানান, চলচ্চিত্রে যে সমস্যা বা খাদের তৈরি হয়েছে তা আমি একা বা শিল্পী সমিতি কিংবা পরিচালক সমিতি সমাধান করতে পারবে না। এ সমস্যা সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এমন একটা সিস্টেম করতে চাই যেন বাইরের শিল্পীরা এখানে এসে অবাধে কাজ করতে না পারে। কোন বিদেশি শিল্পী শুধু পরিচালক সমিতির অনুমতি নিলেই হবে না, এদেশে কাজ করতে হলে শিল্পী সমিতির অনুমতি লাগবে। যৌথ প্রযোজনার ছবি হলে একটা ফান্ড শিল্পী সমিতিকে দিতে হবে। আগে আমার শিল্পীরা কাজ করবে তারপর বাহিরের শিল্পীরা।
নির্বাচিত হলে প্রথম পদক্ষেপ সম্পর্কে সানী বলেন, প্রথম কাজ হবে, অসু্স্থ বা বিপদগ্রস্ত শিল্পী জন্য একটা বড় ফান্ড তৈরী করা। এজন্য দেশীয় তারকাদের নিয়ে দেশব্যাপী বড় কয়েকটি শো’ করা হবে। কোনো শিল্পী যেন শিডিউল জটিলতায় না পড়েন, দরকারি পদক্ষেপ নেবে শিল্পী সমিতি। শিল্পীরা যাতে প্রাপ্য সম্মানী পান, সেদিকেও নজর রাখা হবে। কোনো শিল্পী মৃত বা পঙ্গু হলে তার পরিবারকেও সহযোগিতা করবে সমিতি।
অপরদিকে একই প্যানেল থেকে এ নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য পদে অংশ নিচ্ছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। একজন জনপ্রিয় এবং সিনিয়র শিল্পী হয়ে কেন সাধারণ সদস্য পদে মৌসুমী। এ বিষয়ে ওমর সানী বলেন, মৌসুমী সহ-সভাপতি পদে বা বড় কোন পদে নির্বাচন করছেন না কেন, এটা সবার প্রশ্ন। আসলে মৌসুমী নিজেই নির্বাহী সদস্য হিসেবে কাজ করতে চান। কারণ, আমাদের ছোট্ট একটা পরিবার আছে। এর সব কিছুই তাকে দেখতে হবে। সন্তানদের সময় দিতে হয়। এছাড়া বছর ব্যাপী টানা কর্মব্যস্ততা থাকে। বর্তমানে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। এ অবস্থায় বড় দায়িত্ব না নেয়াটাই উচিত বলে সে মনে করেছে।
জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী ওমর সানী। এসম্পর্কে ওমর সানী বলেন, এবারের নির্বাচনে আমাদের প্যানেলে সাংগঠনিক বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়েছি। প্যানেলে যাদের রাখা হয়েছে, প্রত্যেকে দায়িত্ব পালনে যোগ্য। সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি। বাকিটা ভোটারদের ভোট আর আল্লাহর উপর নির্ভর।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন