৪০ পেরিয়েও বলিউডে যারা অপরুপা
চল্লিশ পেরোলেই নাকি অনস্ক্রিনে চাহিদা কমতে থাকে অভিনেত্রীদের। এ সময় মুখে পড়ে বয়সের ছাপ। ধীরে ধীরে কমতে থাকে জনপ্রিয়তা।
অন্য কোনো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এমন ঘটনা ঘটলেও বলিউডে হয়তো এই নীতি খুব একটা কার্যকর নয়। কারণ এখনো অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন যারা বয়সকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ইন্ডাস্ট্রি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
বছরের পর বছর নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। তাদের দেখে কে বলবেন এদের বয়স ৪০ পেরিয়েছে। কেউ কেউ আবার প্রায় পঞ্চাশের কোটায় দাঁড়িয়ে। তাও দেখে বোঝার উপায় নেই। শরীরের ভাজ হোক বা সেক্সি পোজ, মুখের জেল্লা হোক বা স্টাইলিং তরুণ অভিনেত্রীরাও লজ্জা পেয়ে যাবেন এই ‘বৃদ্ধা’ অভিনেত্রীদের কাছে।
৪০ পেরোনো অভিনেত্রীদের যারা এখনো বলিউডের পর্দায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের নিয়ে সাজানো হয়েছে এ প্রতিবেদন।
মাধুরী দীক্ষিত : মাধুরীর রুপের মাধুর্য্য এখনো অকল্পনীয়। পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই করছে বয়স তবুও তিনি রুপের মায়া ছড়ান বলিউডের ভিতর-বাহিরে। ১৯৮৪ সালে অবোধ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক হয় তার। ১৯৮৮ সালে তেজাব ছবির মাধ্যমে দর্শক মহলে বিপুল জনপ্রিয়তা পান। অভিনয়ের পাশাপাশি তার সহজাত সৌন্দর্য্য এবং নাচে পারদর্শিতা সকলকে মুগ্ধ করে।
১৯৮০-১৯৯০-এর পুরো দশক জুড়ে তিনি হিন্দি সিনেমার নায়িকাদের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছিলেন। হিন্দি সিনেমায় অনবদ্য ভূমিকার জন্য ২০০৮ সালে ভারত সরকারের ৪র্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। আজও এ শিল্পীর রুপের প্রশংসায় বুদ পুরো বলিউড।
কাজল : মাত্র আঠারো বছর বয়সে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেন কাজল। বেখুদি সিনেমার মাধ্যমে তার রুপালি পর্দায় অভিষেক হয়। অভিনেত্রী তনুজা ও নির্মাতা সৌম মুখার্জির মেয়ে তিনি। বলিউডে তার প্রথম দশক কেটেছে স্বপ্নের মতোই। দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে (১৯৯৫), গুপ্ত : দ্য হিডেন ট্রুথ (১৯৯৭), দুশমন (১৯৯৮), কুচ কুচ হোতা হ্যায় (১৯৯৮), কাবহি খুশি কাবহি গাম (২০০১), ফানা (২০০৬) প্রভৃতি সিনেমাগুলো তার সফলতার কথাই বলে।
এই অভিনেত্রী সর্বশেষ অভিনয় করেন মাই নেম ইজ খান (২০১০)-এ। মাঝে লম্বা সময় ফিল্মি দুনিয়া থেকে দূরে ছিলেন। তবে এ বছর আবারও ফিরছেন রিলে দুনিয়ায়। শাহরুখ খানের সঙ্গে জুটি গড়ে অভিনয় করছেন নির্মিতব্য দিলওয়ালে’তে। একচল্লিশে পার করলেও কাজলের রুপের জাদু এখনো মাতিয়ে রাখে পুরো বলিউডকে। বিষয়টি মনে রেখেই ডিডিএজে-এর জুটিকে আবারও পর্দায় ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছেন রোহিত শেঠি।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন : ১৯৯৪ সালে বিশ্ব সুন্দরী খেতাব জিতে নেওয়া ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় মণি রত্নমের তামিল ছবি ইরুবর (১৯৯৭)-এর মাধ্যমে। তিনি প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য পান তামিল ছবি জিন্স (১৯৯৮) ছবিতে। তিনি সঞ্জয় লীলা বনসালী পরিচালিত হাম দিল দে চুকে সনম (১৯৯৯) ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ২০০২ সালে বনসালীর পরবর্তী ছবি দেবদাস-এ তিনি অভিনয় করেন। তিনি দ্বিতীয়বার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারে ভূষিত হয় হন এই ছবিটির মাধ্যমে।
২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল এ তিন বছর একটু বাজে সময় পার করেন তিনি। তবে ব্লকবাস্টার ছবি ধুম টু (২০০৬) দিয়ে আলোচনায় ফিরেন। পরবর্তীতে তার গুরু (২০০৭) এবং যোধা আকবর (২০০৮) ব্যবসায়িকভাবে সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি সমালোচকদেরও মন জয় করে। অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিয়ের পর মাতৃত্বকালিন অবসরে যান অ্যাশ। সম্প্রতি জাজবা (২০১৫) দিয়ে আবার ফিরেছেন বলিউডে। আর ফিরেই মিডিয়ার সব আলো নিজের করে নিয়েছেন। ১৯৭৩ সালের ১ নভেম্বর তার জন্ম। সে হিসেবে তার বয়স ৪২ বছর। চল্লিশ পার করলেও এ সুন্দরীর রুপের ঝলক আজও দারুণ উজ্জ্বল। আজও তিনি রুপের মোহ ছড়িয়ে বুদ করে রেখেছেন বলিউডসহ সারা দুনিয়ার।
শিল্পা শেঠি : ১৯৯৩ সালের শাহরুখ খানের বিপরীতে বাজিগর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিষেকের পর থেকে প্রায় ৪০ টি বলিউড, তামিল, তেলেগু এবং কন্নড় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। শিল্পা প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ১৯৯৪ সালের আগ ছবিতে।
এছাড়াও তিনি ধাড়কান (২০০০) এবং রিস্তে (২০০২) চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয় নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। ২০০৪ সালের ফির মিলিঙ্গে চলচ্চিত্রে একজন এইডস রোগী হিসেবে অভিনয় করে তিনি অনেক পুরস্কার লাভ করেন। সিনে পর্দায় বেশ কিছুদিন ধরে অনুপস্থিত থাকলেও বলিউডের রুপসীদের তালিকায় এখনো তার নাম সেরাদের কাতারেই স্থান পায়।
প্রীতি জিনতা : বেশ কিছু ধরেই রুপালি পর্দায় অনুপস্থিত প্রীতি জিনতা। তবে শুধু তার রুপের ঝলকে আজও খবরের শিরোনাম হন চল্লিশ পার করা এ অভিনেত্রী। হৃতিক রোশানের সঙ্গে জুটি বেঁধে তারা রাম পাম সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়।
তবে সোলজার সিনেমায় অভিনয় করে তিনি দর্শক ও সমালোচকদের মন জয় করেন। মিডিয়ার বাইরে আইপিএল আসরে ক্রিকেট টিমের মালিকিন হয়েও দারুণ আলোচিত হন তিনি। এখনও তিনি তার মনোহর রুপের জন্য দারুণ জনপ্রিয় বলিউডে।
মালাইকা অরোরা খান : ভারতে এমটিভি চালু হবার পর তিনি ছিলেন চ্যানেলটির সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও জকি বা ভিজে। বিভিন্ন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার সপ্রতিভ উপস্থাপনায় মুগ্ধ হয়ে এমটিভি ইন্ডিয়া তাকে তাদের চ্যানেলে নিয়োগ দেয়। এখান থেকে তিনি তার মডেলিং জীবন প্রসারিত করেন। বহু বর্মাসিয়ালে তিনি মডেল হন। তবে বলিউডে তিনি আলো ছড়ান তার নাচের জাদু দিয়ে। আইটেম নাম্বারে পারফর্ম করার ক্ষেত্রে এখন তিনি সামনের সারির শিল্পী।
দিল সে ছবিতে তার ছাইয়া ছাইয়া গানটিতে তার পারফর্মেন্স আজও সকলের মনে দাগ কেটে রয়েছে। ব্যক্তিজীবনে বলিউড অভিনেতা-প্রযোজক-পরিচালক আরবাজ খানের স্ত্রী। তিনিও চল্লিশ পার করেছেন আরো দুবছর আগে। তাতে কি? এখন মালাইকা বলিউডের চোখের মণি হয়েই আছেন।
সুস্মিতা সেন : সিনে পর্দায় খুব একটা সাফল্য না থাকলেও মিডিয়ায় ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি আলোচনায় ছিলেন মোহনীয় রুপের জন্য।
১৯৯৪ সালের মিস ইউনিভার্স বিজয়ী আজো সেই মোহনীয় রুপ ধরে রেখেছেন। সদ্য ৪০ পেরুনো এ মডেল অভিনেত্রী হয়তো আরো বহু বছর আলোচনায় থাকবেন তার রুপের জাদুতে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন