মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

৪০ বছর পর ভাগ্য মিলিয়ে দিলো হারানো দুই বোনকে

মদ্যপ বাবার হাত থেকে বাঁচাতে এক মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মা। তবে বাবার কাছে রেখে গিয়েছিলেন বড় মেয়েকে। সেটা ছিল সত্তরের দশকের প্রথম দিক। সেই শেষ দেখা দুই বোনের। এর পর দু’জনের জীবন বয়ে গিয়েছে আলাদা আলাদা খাতে।

ভাগ্যের ফেরে দক্ষিণ কোরিয়ার অনাথ আশ্রম থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পড়েছিলেন দুই বোনই। তবে ভাগ্য যে আবার মেলাতে চলেছে তা স্বপ্নেও ভাবেননি দুই বোনের কেউই। চার দশক পর অবিশ্বাস্য ভাবে ফ্লোরিডার হাসপাতাল ফের মিলিয়ে দিল তাদের।

ছোট মেয়ে ইউন-সুককে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মা। বড় মেয়ে পক-নাম শিন রয়ে গিয়েছিল বাবার সঙ্গে। তার বয়স তখন দুই। এর তিন বছর পর বাবা হঠাত্ মারা যান। বছর পাঁচেকের পকের ঠাঁই হয় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে পুসান শহরের এক অনাথ আশ্রমে। ১৯৭৮ সালে এক মার্কিন দম্পতি দত্তক নেয় তাকে। পকের নতুন নাম হয় হোলি ও’ব্রায়েন। নতুন বাবা মায়ের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় শুরু হয় তার নতুন জীবন।

অন্য দিকে ইউনেরও রয়েছে ছোটবেলায় অনাথ আশ্রমে থাকার স্মৃতি। তবে জন্মদাতা মায়ের কথা প্রায় কিছুই মনে করতে পারেননি তিনি। ১৯৭৬ সালে তাকে দত্তক নেন এক মার্কিন দম্পতি। নিউ ইয়র্ক শহরে শুরু হয় তার নতুন জীবন। নাম হয় মেগান হিউ। মাত্র ৩০০ মাইলের ব্যবধানে বড় হয়ে উঠতে থাকে রক্তের সম্পর্কের দুই বোন। সময়ের নিয়মেই শৈশব থেকে কৈশোর পেরিয়ে দুই বোনই আজ চল্লিশের কোঠায়।

তবে সমাপতন যেন ঘটারই ছিল। চলতি বছরের গোড়ার দিকে ফ্লোরিডার সারাসোতা হাসপাতালের চার তলায় নার্সিং অ্যাসিসট্যান্টের চাকরি পান ও’ব্রায়েন। তিন বছর পর চাকরি সূত্রেই ওই হাসপাতালেরই সেই চার তলাতেই হিউকেও টেনে আনে ভাগ্য। প্রতিদিন আট ঘণ্টা একসঙ্গে ওঠাবসা করতে করতে গড়ে ওঠে গভীর বন্ধুত্ব। দুজনের অতীতেই রয়েছে অনাথ আশ্রমে বেড়ে ওঠার স্মৃতি, মার্কিন পরিবারের দত্তক সন্তান হওয়ার গল্প। কোথাও যেন হিউয়ের মধ্যে নিজেরই ছায়া দেখতে পেতেন ও’ব্রায়েন। তার উত্সাহেই অর্ডার দিয়ে কানাডা থেকে ডিএনএ কিট আনানো হয়। দুই বোনের লালা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়। রিপোর্ট দেখে আনন্দে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি দুই বোন।

“বিশ্বাস করতে পারছি না, এটা যেন হতে পারে না। উত্তেজনায় কাঁপছিলাম আমি,” কথাগুলো বলতে বলতে গলা ধরে আসছিল ও’ব্রায়েনের। হিউয়ের চোখও তখন ঝাপসা। জানালেন, “যখন সত্যিটা শুনলাম আমি থমকে গিয়েছিলাম। ভাবতে পারছি না। আমার এক বোন আছে।’’

ছোটবেলায় আলাদা হয়ে যাওয়া দুই সহোদরা আজ আবার মুখোমুখি। মাঝে চার দশক ও কিছু আবছা স্মৃতি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন

একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৫৭বিস্তারিত পড়ুন

কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প

রিপাবলিকান দলের জাতীয় সম্মেলনে ডান কানে বড় ব্যান্ডেজ নিয়েই অংশবিস্তারিত পড়ুন

  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ
  • রিয়াদে সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিতীয় রাজনৈতিক সংলাপে বসছে বাংলাদেশ
  • তুকতাক করার অভিযোগে গ্রেফতার মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী
  • আজ লোকসভার স্পিকার নির্বাচন