৪৩০ বছর ‘অভিশাপ’ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে !

ভারতের আগ্রার বিখ্যাত ফতেহপুর সিক্রি। ১৫৬৯ সালে সম্রাট আকবর এটি নির্মাণ করেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, নির্মাণের মাত্র ১৪ বছর পরেই ১৫৮৫ সালে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের অভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় এই স্থাপনাটি। শুধুমাত্র পানির অপর্যাপ্ততার কারণে একটি রাজধানী শহর টিকে থাকতে পারেনি। অথচ এটি ছিল ভারতের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু।
এত শত বছর পর ঠিক একই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন দিল্লির উদয়পুরের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বেসরকারি বাড়ি নির্মাতারা। উদয়পুর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে উমেরদা এলাকায় একটি আবাসিক এলাকা তৈরি করার সময় এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরা। কয়েক বছর আগেই এই আবাসিক এলাকা তৈরির কাজ শুরু হলেও সেখানকার সুদৃশ্য বাড়িগুলো কিনতে কোনো আগ্রহী ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। একধরনের অদৃশ্য তেজস্ক্রিয়তার অভিশাপের ভয়ে কেউ সেখানে থাকতে রাজি নন।
শুখাদিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক প্রভাষক ড. পুষ্পেন্দ্র সিং রানাওয়াত টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘উদয়পুরের নগর পরিকল্পনাবিদদের বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া উচিত এবং উমেরদাকে মানব কার্যকলাপ নিষিদ্ধ অঞ্চল ঘোষণা করা উচিত। দেশটির পরমাণু খনিজ বিভাগের ১৯৫৬ সালের তথ্য এবং পিএইচডির একটি অপ্রকাশিত নিবন্ধ অনুযায়ী এই জায়গাটির মাটির নিচে ইউরেনিয়াম, তামাসহ বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে। যার কারণে এই স্থানে বিকিরণের মাত্রা অনেক বেশি। ফলে জায়গাটি মানুষের বসবাসের উপযোগী নয়।’
প্রাচীণকাল থেকেই এই এলাকাটি তামা উৎপাদনের জন্য পরিচিত ছিল। এ ছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থের উচ্চমাত্রার বিকিরণের কারণে উমেরদা এলাকায় বাস করা মানুষের স্বাস্থের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। তাই তেজস্ক্রিয়তার একধরনের অদৃশ্য অভিশাপ সেখানকার মানুষদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ফলে সেখানে আর নতুন করে আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন