৪৩ পুলিশে একটি গাড়ি, ঘাটতি মেটাতে আসছে ৯৯৪টি
বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমানে যে সংখ্যক যানবাহন রয়েছে তা অপ্রতুল। পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত আছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯৪ জন সদস্য। এ সংখ্যা অচিরেই দুই লাখে উন্নীত হবে। কিন্তু এ সংস্থাটির জন্য রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৮৬২টি যানবাহন। এই হিসেবে সাড়ে ৪৩ জন পুলিশ সদস্যের বিপরীতে গাড়ি মাত্র একটি।
এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আওতায় নতুন করে বিভিন্ন ধরণের ৯৯৪টি যানবাহন কেনা হবে। বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি, সমাজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) আখতার হোসেন ভূইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে পুলিশ সদস্যদের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম। বিশেষ করে থানা পর্যায়ে যানবাহনের অভাবে অনেক সময় অপারেশনাল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের অনেক যানবাহন আছে জরাজীর্ণ। সেই লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় নতুন কিছু যানবাহন কেনা হবে যেন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যানবাহনগুলোকে কিন্তু অন্য সংস্থার সঙ্গে তুলনা করলে হবে না। পুলিশের যানবাহন দেখা যায় ২৪ ঘণ্টাই চলে। সেই লক্ষ্যে আরও যানবাহনের দরকার। অচিরেই পুলিশ সদস্যের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে যাবে সেই লক্ষ্যেই যানবাহনগুলো কেনা হবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমানে যে যানবাহন রয়েছে, তার সামগ্রিক অবস্থা খুব ভালো নয়। অধিকাংশ যানবাহনই পুরাতন এবং জরাজীর্ণ। এ সকল যানবাহন দিয়ে দ্রুত ও সময়মতো অপারেশন পরিচালনা করা এবং প্রয়োজনীয় সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। পুলিশকে দিবা-রাত্রি নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হয়।পুলিশ বাহিনীতে ৫ হাজার ২০৪টি মটর সাইকেল রয়েছে। অনেক সময় অভিযানে গাড়ির বদলে মটরসাইকেল ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী সন্দেহভাজন ও ফেরারি আসামিদের গ্রেফতার করাসহ বিচার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হয় পুলিশকে।
এছাড়া পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ, ট্রাফিক বিভাগ এবং অন্যান্য ইউনিটসমূহের যানবাহনেও স্বল্পতা রয়েছে। এ অবস্থায় পুলিশের জন্য নতুন নতুন যানবাহন কেনা প্রয়োজন বলে মনে করে মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৬৫০টি ডাবল-পিক আপ, ৩০টি প্রিজন ভ্যান, ৩০টা রেকার, ৩০টি মিনিবাস, ৪০টা মাইক্রোবাস, ১৪০টি জিপ, ৩০টা অ্যাম্বুলেন্স, ৪৪টি বাসসহ ৯৯৪টি যানবাহন কেনা হবে। এতে মোট খরচা করা হবে ৬০৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। ‘বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয়’ প্রকল্পের আওতায় যানবাহনগুলো কেনা হবে। চলতি সময় থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ সালের মধ্যেই এই যানবাহন কেনা হবে। সূত্র: বাংলা নিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন