সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

৪৪ বছরের মার্কিন-চীন সম্পর্কে পরিবর্তনের আভাস ট্রাম্পের

চীন-মার্কিন ৪৪ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক সাক্ষাৎকারে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তিনি এই সম্পর্ক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন।

তাইওয়ানকে নিজ দেশের অংশ মনে করে চীন। ‘এক চীন’ নীতির মধ্য দিয়ে সেই ধারণাই প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছে দেশটি। সেই ‘এক চীন নীতি’র প্রতি ৪৪ বছরের মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহারের ইঙ্গিত নিয়েছেন ট্রাম্প।

বস্তুত তাইওয়ানকে অখণ্ড চীনের অংশ মনে করার নীতিই এক চীন নীতি। সেই ১৯৭২ সালে চীনের চেয়ারম্যান মাও সে তুং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের মধ্যে ‘এক চীন নীতি’র প্রতি মার্কিন সমর্থনের ব্যাপারে ঐকমত্য হয়। এর থেকে গত ৪৪ বছরে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেনি।

রবিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ‘এক চীন’ নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। আভাস দেন ৪৪ বছরের পররাষ্ট্রনৈতিক সম্পর্ক বদলের।

যুক্তরাষ্ট্র মূলত তিন কারণে এক চীন নীতি সমর্থন করে আসছে: বেইজিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাইওয়ানকে রক্ষা ও সহযোগিতা করে গণতন্ত্রের পথ রক্ষা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা। ১৯৭২ সালে মাও-রিগ্যান সমঝোতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৯৭৯ সাল থেকে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব মানতে অর্স্বকৃতি জানাতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ৪৪ বছর ধরে এই নীতির কোনও বদল ঘটেনি।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বাণিজ্য এবং অন্যান্য ইস্যুতে চীনের কাছ থেকে ছাড় না পেলে তাইওয়ান ইস্যুতে দেশটিকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখার তিনি কোনও কারণ দেখেন না। রবিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ঠিক বুঝি না চীনের সঙ্গে বাণিজ্য অথবা অন্যান্য প্রশ্নে যদি চুক্তিই না করা যায়, তাহলে তাদের ‘এক চীন নীতি’ সমর্থনের কারণটা কী?’

ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, মুদ্রা সংক্রান্ত বিষয়ে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করছে না। উত্তর কোরিয়া কিংবা দক্ষিণ চীন সাগর নিয়েও একই কথা প্রযোজ্য। ১৯৭২ সালের পর থেকে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে নির্বাচিত হয়েই দীর্ঘদিনের রীতি ভাঙলেন ট্রাম্প।
এ বিষয়ে ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, তাইওয়ানের নেতার সঙ্গে তার আলাপের বিষয়ে বেইজিং সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই না; চীন আমাকে আদেশ করুক। এই কলটা আমাকে করা হয়েছিল। এটা ছিল বেশ চমৎকার একটা সংক্ষিপ্ত কল। অন্য কিছু দেশ এটা কিভাবে বলতে পারে যে, আমি একটি কল রিসিভ করতে পারি না? আমার কাছে মনে হয়েছে যে, এটা খুবই অসম্মানজনক। ’

এর আগে তাইওয়ানের নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর বেইজিং-এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জবাবে টুইটারে দেওয়া একাধিক পোস্টে চীনকে এক রকম তুলোধুনা করেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এসব টুইটে তিনি চীনের মুদ্রানীতি এবং দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং-এর কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন।
টুইটারে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘চীন কি নিজেদের মুদ্রার মান কমানোর ব্যাপারে আমাদের জানিয়েছে? এর ফলে আমাদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রতিযোগিতা করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। ’

আরেক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা কি দক্ষিণ চীন সাগরে বিশাল সামরিক কাঠামো নির্মাণের জন্য তাদের অর্থ দেই? আমরা মনে হয়, না। ’
সবমিলে চীন-মার্কিন সম্পর্কের ৪৪ বছরের নীতি থেকে সরে আসারই ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে স্বৈরাচারী শাসক বললেন ট্রাম্প

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি ছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

  • ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা