৪৪ বছর ধরে আমরা বন্দি: সন্তু লারমা

পার্বত্য জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেছেন, ১৯ বছরেও শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। সরকারই চাচ্ছে না চুক্তি বাস্তবায়ন হোক। এর বদলে দিনদিন আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে। ৪৪ বছর ধরে আমরা বন্দি অবস্থায় যেন খাঁচায় বাস করছি।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৯তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সন্তু লারমা বলেন, এ অবস্থায় চুক্তি বাস্তবায়ন তথা ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলনে সরকার বাধা দিলে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। সেনা ক্যাম্প-নিবাসগুলোও সরবে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যাবে যা সরকার ভাবতেই পারবে না। যার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির বদলে আমাদের ধ্বংস করা হচ্ছে। আদিবাসীরা নির্যাতনের শিকার, প্রতিনিয়ত আমরা শোষণ বঞ্চনার শিকার হচ্ছি। ক্রমাগত ভূমি থেকে উচ্ছেদ ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বর্তমান সরকার চুক্তি স্বাক্ষর করলেও তারাই চাচ্ছেন না এ চুক্তি বাস্তবায়ন হোক। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারবো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাদের মঞ্চে এসেও বলেন, সন্তু লারমা শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন হবেই, আমরাই এ চুক্তি বাস্তবায়ন করবো। তার (প্রধানমন্ত্রী) এমন প্রতিশ্র“তি সম্পূর্ণ মিথ্যে হবে, প্রতারণার হবে। কারণ, দীর্ঘ ১৯ বছরে এ চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে আদিবাসীরা আরও শোষিত বঞ্চিত হয়েছে।
প্রতিনিয়তই শাসক গোষ্ঠী-দালাল গোষ্ঠীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম গ্রাস করছে জানিয়ে সন্তু লারমা বলেন, ১৯ বছরে কোনো সরকারই চুক্তির মৌলিক বিষয়গুসমূহ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসেনি। তিন পার্বত্য জেলার ডেপুটি কমিশনারসহ জেলা উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসী নন। তারা আদিবাসীদের জীবনধারার প্রতি সংবেদনশীল নন।
বর্ষপূতি উপলক্ষে সরকারের ক্রোড়পত্র প্রকাশের বিষয়ে সন্তু লারমা বলেন, ক্রোড়পত্রে মিথ্যা বলা হয়েছে। আড়াল করা হচ্ছে আদিবাসীদের সমস্যা।
শক্তিপদ ত্রিপুরার স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল,বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম’র সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য নূর আহমেদ বকুল, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সাধারন সম্পাদক সিমন চিসিম প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সিলেটে মোহসিন আহমেদ চৌধুরীর বাসভবনে হামলা ও ডাকাতি
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আওয়ামী লীগ নেতা মোহসিন আহমেদ চৌধুরীর সিলেট শহরেরবিস্তারিত পড়ুন

রাবিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ
রাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বর্তমান ওবিস্তারিত পড়ুন

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন