৪৫ বছরেও সংরক্ষন হয়নি কুষ্টিয়া দৌলতপুরের সর্ববৃহৎ ব্যাংগাড়ী মাঠের যুদ্ধ ক্ষেত্রের স্থানটি
মোঃ শহিদুল ইসলাম সোহাগ, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকা হানাদার বাহিনীর সাথে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ সংঘঠিত হয় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ ব্যাংগাড়ীর মাঠে। এলাকাবাসীর কাছে এই স্থানটি ব্যাংগাড়ী মাঠের যুদ্ধ ক্ষেত্র নামে পরিচিত।
জানা যায়, এই ব্যাংগাড়ী মাঠের সম্মুখ যুদ্ধে তিন শতাধিক পাক হানাদার বাহীনির সদস্য ও দুই শতাধিক মিত্র বাহিনীর সদস্য নিহত হন। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৫ বছর অতিবাহিত হলেও সংরক্ষন হয়নি এই যুদ্ধ ক্ষেত্রটি। ব্যাংগাড়ী যুদ্ধ ক্ষেত্রের মাঠ থেকে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের নদীয়া জেলার শিকারপুর মুক্তিযুদ্ধ সাব-সেক্টর সদরের দূরুত্ব ছিল মাত্র দেড় কিলোমিটার।
কয়েজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা বলে জনাযায়, এই ব্যাংগাড়ী মাঠের যুদ্ধে অসংখ্য পাক বাহিনী সদস্য নিহত হন। তবে পাক বাহিনী ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ও মসলেম উদ্দিন সহ ৩ জন মিত্র বাহিনীকে জীবিত ধরে নিয়ে যায়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনজন মিত্র বাহিনীর সদস্য কে ফেরত দিলেও আজও সন্ধান মেলেনি ঐ তিনজন মুক্তিযোদ্ধার। যুদ্ধে অংশ নেওয়া ধর্মদহ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সেদিনের যুদ্ধের স্মৃতিকাতর কথা বর্ননা করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন জীবন বাজি রেখে সেদিনের যুদ্ধে অংশ নিয়ে আজও বেঁচে আছি। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৫ বছর পার হয়ে গেলেও সংরক্ষন করা হলো না এই স্মৃতি বিজড়িত স্থানটি। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা স্মৃতি সংরক্ষনে কোন দিন কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি।
তারা আরো জানান, একদিন ভারি ভারি অস্ত্রের মূর্হুমুহু গুলির শব্দে প্রকল্পিত হয়েছিল যে স্থানটি, সেখানে এখন কেবল আগাছা আর ঝোপ-জঙ্গলে ভরে আছে সেখানকার কিছু অংশে গরু ছাগলের চরন ভূমিও তৈরী হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ব্যাংগাড়ী যুদ্ধ ক্ষেত্রে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মানের জন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবী জানাবেন তিনি যাতে করে খুব তাড়াতাড়ি একটি স্মৃতি সৌধ নির্মান করা হয়। তিনি খোব প্রকাশ করে বলেন বিগত আমলে যে সমস্ত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন তারা কেন এই যুদ্ধ ক্ষেত্রটির ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেয়নি সেটা তার বোধগম্য নয়।
মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাাঁথা ইতিহাস ভবিষৎ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সরকার দ্রæত ব্যাংগাড়ী মাঠের যুদ্ধ ক্ষেত্রের স্মৃতি সংরক্ষনে ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই দাবী স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকাবাসীর।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঢাকা-খুলনা রেল আংশিক চালু হয়েছে সুদীর্ঘ্য ১২ ঘণ্টা পর !
অবশেষে প্রায় ১২ ঘন্টা পর কুষ্টিয়ার পোড়াদহে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ারবিস্তারিত পড়ুন
১৫ হাজার কলাগাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় হিজলাবট এলাকায় গড়াই নদের চরে কলাগাছ লাগিয়েছিলবিস্তারিত পড়ুন
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু
বজ্রপাতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার খোলা মাঠে শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন