‘৫৩টি নৌ-পথ খননে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে’
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ ৫৩টি নৌ-পথ উদ্ধারের জন্য সরকার ১২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার নৌ পথ উদ্ধার করা হয়েছে ও প্রায় তিন হাজার একর জমি পুন:উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সরকারের গত মেয়াদে বিআইডব্লিউটিএ ১৩টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে এবং এবছর আরোও ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের জন্য কার্যক্রম চলছে। মংলা-ঘষিয়াখালি চ্যানেল পুন: খনন করে নৌপথটি জাহাজ চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্ভীক’ ও ‘প্রত্যয়’ নামে দু’টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ ক্রয় করা হয়েছে।
আজ ঢাকায় বাংলা একাডেমীতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) অফিসার্স এসোসিয়েশনের অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন সচিব অশোক মাধব রায়, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম.মোজাম্মেল হক এবং অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
শাজাহান খান বলেন, ঢাকার চারদিকে নদী তীরের উচ্ছেদকৃত ভূমি পুনরায় যাতে দখল না হয় সেজন্য বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষা নদীর তীরে ব্যাংক প্রটেকশনসহ ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি মেয়াদে আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে শ্যামপুরে এবং শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কাঁচপুরে দু’টি ‘ইকোপার্ক’ নির্মাণ করা হয়েছে। পাটুরিয়া-বাঘাবাড়ী নৌ রুটে রাতে নৌযান চলচলের জন্য নাইট নেভিগেশন চালু করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষা ও তুরাগ নদীর দুষণমুক্তির জন্য দুষণের উৎসমুখ বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কাজ চলমান রয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশ হতে পরীক্ষামূলকভাবে ৮ দশমিক ৫০ লক্ষ ঘনমিটার বর্জ্য উত্তোলন করা হয়েছে।
শাজাহান খান বলেন, ঢাকা ও বরিশাল, নদী বন্দর ২টি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বরগুনা ও যশোরের নওয়াপাড়া নদী বন্দরের উন্নয়ন এবং সীতাকুন্ড, কাঁচপুর ও টঙ্গীতে ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। ভোলা নদীবন্দর ও টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ছাতক ও চিলমারী নদী বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। যাত্রীদের সহজে পারাপারের লক্ষ্যে ১০০ পন্টুন নির্মাণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, নদীর তীর দখল ও দূষণরোধ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম জোরদার এবং নৌপথ পথ খনন ও সংরক্ষণের মাধ্যমে বছরব্যাপী নৌযান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেয়া হবে না। দখল ও দূষণকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পরে মন্ত্রী বিকেলে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে সেবা কল্যাণ স্ট্রাষ্টের এক আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী সভায় বক্তব্য রাখেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন