৫ পাকিস্তানিসহ ৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন সাকার
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানিতে পাঁচ পাকিস্তানিসহ আটজনের সাফাই সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সাকার আইনজীবী মো. হুজ্জাতুল ইসলাম আলফেসানী এ আবেদন করেছেন। আদালতে এসে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ওই আটজনের নামে সমন জারির আবেদন করেছেন তিনি।
সাফাই সাক্ষীদের মধ্যে পাঁচ পাকিস্তানী হলেন- স্থপতি মুনিব আরজুমান্দ খান, পাকিস্তানের ডন গ্রুপের চেয়ারম্যান আমবর হারুণ সায়গল, পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী ইসহাক খান খাকওয়ানি, ভিকারুননিসা নূনের নাতি রিয়াজ আহমেদ নূন এবং পাকিস্তানের প্রাক্তণ তত্ত্বাধায়ক সরকারের প্রধান মোহাম্মদ মিয়া সুমরো।
বাকি তিনজন হলেন- যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রাক্তন কূটনীতিক এম ওসমান সিদ্দিক, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শামীম হাসনাইন ও তার মা জিনাত আরা বেগম।
তবে সাকার আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম প্রথমে, চার পাকিস্তানিসহ সাতজনের সাফাই সাক্ষ্যের ব্যাপারে আবেদন করার কথা বলেছিলেন।
এদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলছেন, বিচারের এ পর্যায়ে এসে এ ধরনের আবেদন ‘নজিরবিহীন’। তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে রিভিউর স্কোপ খুবই কম। সাধারণত আদালতের কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকে। আর সাকা চৌধুরী সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন করেছেন নির্ধারিত সময়ের পরে।’
সাকা চৌধুরী ও আরেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানির দিন ঠিক করতে রাষ্ট্রপক্ষের একটি আবেদন ২০ অক্টোবর চেম্বার বিচারপতির আদালতে উপস্থাপনের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর রিভিউ আবেদন করেন দুই যুদ্ধাপরাধী। পরদিন ১৬ অক্টোবর আবেদনের শুনানির দিন নির্ধারণের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরদিন তাঁদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ওই দিনই কারা কর্তৃপক্ষ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদ এবং গাজীপুরের কাশিমপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এ সাকা চৌধুরীকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনায়।
নিয়ামানুযায়ী, পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি পাওয়ার বা রায় পড়ে শোনানোর পর ১৫ দিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে হবে। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার একদিন আগে সাকা ও মুজাহিদের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে আলবদর নেতা মুজাহিদকে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২।
অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে একই বছরের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করলে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ গত ১৬ জুন মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে আদেশ দেন। এছাড়া একই বেঞ্চ গত ২৯ জুলাই সাকার ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন।
এখন রিভিউ খারিজ হলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে হবে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন