৫ ম্যাচ পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল মাশরাফির কুমিল্লা
বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। কিন্তু মাশরাফি বিন মুর্তজার দলকে এবার টুর্নামেন্ট শুরু করে টানা ৫ ম্যাচ হারতে হয়েছে। অবশেষে দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে এল তারা। চট্টগ্রামে শনিবার নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে ৩২ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা। আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৫২ রান তুলেছিল কুমিল্লা। জবাবে ১৯ ওভারে ১২০ রানে অল আউট রাজশাহী। ৫ ম্যাচে এটি রাজশাহীর চতুর্থ হার। ৪ উইকেট নিয়েছেন কুমিল্লার পাকিস্তানি পেসার সোহেল তানভির। ৩ উইকেট তরুণ পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের।
গেলবার মাঠে দাঁড়িয়ে শুধু অধিনায়কত্ব করেই শিরোপাটা তুলে নিয়েছিলেন মাশরাফি। নিজে খুব বল করতে পারেননি ইনজুরির জন্য। তার সেই নেতৃত্বের ম্যাজিকের কিছুটা ফিরে এল রাজশাহীর বিপক্ষের ম্যাচে। টিনএজার স্পিনার নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে বোলিং ওপেন করেছিলেন মাশরাফি নিজে। দুজনার ৪ ওভারের পর কোনো উইকেট না হারিয়ে ২২ রাজশাহীর। পঞ্চম ওভারে সোহেল তানভিরকে আনলেন মাশরাফি। জোড়া আঘাত হানলেন পাকিস্তানের ভিন্ন রকমের অ্যাকশনের পেসার। পর পর দুই বলে তুলে নিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকি (১০) ও রাজশাহীর ব্যাটিং স্তম্ভ সাব্বির রহমানকে (০)।
পরের দুই ওভার আবার নাজমুল-মাশরাফি জুটির। এরপর ২০ বছরের পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে বল দেন মাশরাফি। এই তরুণ শিকার করেন সংগ্রাম করতে থাকা উমর আকমলকে (৩)।
৮ ওভারের পরে অবস্থাটা দেখুন। ৩ উইকেটে ৪১ রান রাজশাহীর। নাজমুল-মাশরাফি ৬ ওভারে দিয়েছেন ২৫ রান। দুজন ১ ওভার করে বোলিংয়ে ৩ উইকেট। পিছিয়ে পড়া রাজশাহীকে টেনে নিচ্ছিলেন ওপেনার মুমিনুল হক। নুরুল হাসান (৮) সাইফুদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হলেন।
কিন্তু ডাচ পেসার রায়ান টেন ডোস্কাট ১৪তম ওভারে কুমিল্লাকে হারানোর ব্যবস্তা প্রায় করে বসেছিলেন। ৫টি ওয়াইড দিলেন। ওই ওভারে ১৯ রান। তবে শেষ বলে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো মুমিনুলকে তুলে নিয়ে ডোস্কাট স্বস্তি দিয়েছেন কুমিল্লাকে। ৪৩ বলে ৫২ করে ফিরেছেন মুমিনুল।
এরপর ৩৬ বলে ৬২ দরকার রাজশাহীর। অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি (০) রান আউট। ৮ নম্বরে নেমে ব্যাটসম্যান হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পেয়েছিলেন। কাজে লাগাতে পারেননি। মাশরাফির শেষ ওভারের শিকার সামিট প্যাটেল (১২)। তারপর এক ওভারেই মেহেদী (৫) ও ফরহাদ রেজাকে (১) তুলে নেন তানভির। ম্যাচ থেকে অবশ্য তার আগেই ছিটকে পড়েছে রাজশাহী।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করে এবারের আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ রানটাই পায় কুমিল্লা। ফর্ম হারা দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটন কুমার দাসের অবনতি হলো। ইমরুল তাও চার নম্বরে ব্যাট করছেন। কিন্তু কুমিল্লার সাত ব্যাটসম্যান ব্যাট করলেও লিটনের হাতে ব্যাট ওঠেনি। প্রথম ম্যাচে ফিফটি করা টিনএজার নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাটিং ওপেন করে ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার। ৪০ বলে ৪১ রান করেছেন। ইমরুল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করলেন।
৪১ রানের মধ্যে খালিদ লতিফ (৬) ও আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান আহমেদ শেহজাদকে (১১) হারায় কুমিল্লা। এরপর ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রানের জুটি হয়েছে তৃতীয় উইকেটে। ইমরুল ও নাজমুলের মধ্যে। নাজমুলের আউটের পর মাশরাফি নিজে এসেছিলেন। গত বছর এক ম্যাচে হঠাৎ ওপরের দিকে উঠে এসে দলকে জিতিয়েছিলেন মাশরাফি। কিন্তু এদিন ৫ নম্বরে ব্যাট করে ১০ বলে ১০ রান তার। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির শিকার। নাজমুলও স্যামির শিকার। মাঝে ফিরেছেন ইমরুল।
৫ উইকেটে ১১১ থেকে স্কোরটা ১৫০ ছাড়ালো রায়ান টেন ডোস্কাট ও সোহেল তানভিরের ব্যাটিংয়ে। ৪.৫ ওভারে ৪১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি তাদের। ডোস্কাট ১৫ বলে ২১ এবং তানভির সমান বলে ১৫ রানে অপরাজিত থেকেছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন