৬৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেল বাংলাদেশি শিশু
নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রংকসের মন্টিফিওর মেডিক্যাল সেন্টারকে ভুল চিকিৎসার খেসারত হিসেবে দিতে হলো ৮৫ লাখ ডলার তথা ৬৭ কোটি টাকা। এ অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাত বছরের এক শিশু।
শুধু তা-ই নয়, চিকিৎসাকালীন ১০ লাখ ডলারের বিল এসেছে, সে অর্থও পরিশোধ করবে ওই হাসপাতাল। এর বাইরে শিশুটিকে সারা জীবনের ভরণপোষণসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু করতে দুই কোটি ৬০ লাখ ডলার দিতে হবে এবং এ অর্থ প্রদান করতে হবে মাসিক কিস্তিতে।
ক্ষতিপূরণের ৮৫ লাখ ডলারের মধ্যে তাৎক্ষণিক ১০ লাখ ডলার প্রদান করা হয় শিশুর নামে একটি বাড়ি ক্রয়ের জন্য। অবশিষ্ট ৭৫ লাখ ডলার জমা করা হয় ব্যাংকে, যেখান থেকে শিশুটির প্রয়োজনে ব্যয় করা হবে।
শিশুর পক্ষে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আইনগত লড়াই চালান প্রখ্যাত অ্যাটর্নি পেরি ডি সিলভার। অ্যাটর্নি সিলভার ২৫ আগস্ট এনআরবি নিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, শিশুটির হার্ট সার্জারি করা হয়। সেটি সফল হলেও সার্জারির পর হার্টের কাছে তরল পদার্থ জমে। এরপর তাকে নেয়া হয় ব্রংকসের মন্টিফিওর হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন, শিশুটিকে পেরিকারডিয়োসেনটেসিস প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দিতে হবে। এ অবস্থায় আলট্রাসাউন্ডের ভিত্তিতে তার বুকে বড় একটি সুঁই ঢুকিয়ে দেয়া হয়। ওই সুঁইয়ের পথ বেয়ে তরল পদার্থ বের হয়ে আসার কথা। কিন্তু তার পরিবর্তে শিশুটির হার্ট ক্ষত হয় এবং প্রচুর রক্ত ঝরে। বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হননি চিকিৎসকেরা। এভাবে প্রচুর রক্তক্ষরণে শিশুটি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। প্রথমে যে চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেছিলেন তাকে ডাকা হয় ও তিনি আবারো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির প্রাণরক্ষায় সক্ষম হন।
কিন্তু ভুল জায়গায় সুঁই ঢুকিয়ে দেয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণে শিশুটি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়। এ অবস্থায় তাকে এক বছরের মতো কাটাতে হয় হাসপাতাল এবং পুনর্বাসন কেন্দ্রে। এরপর বাসায় ফিরলেও তাকে নানা ধরনের সমস্যায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। এমনকি যেতে হচ্ছে বিশেষ স্কুলে।
অ্যাটর্নি সিলভার বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক, যা ঘটা কখনোই উচিত হয়নি। চিকিৎসকেরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতেন তাহলে শিশুটিকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতো না।
শিশুর নাজুক পরিস্থিতির বিস্তারিত তথ্য জেনে অ্যাটর্নি সিলভার তাকে সাথে নিয়ে এ বছরের শুরুতে ছুটে যান শিকাগো। সেখানকার ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের সেরা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে তাকে এই মামলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে সাক্ষ্য প্রদানে রাজি করেন।
অ্যাটর্নি পেরি ডি সিলভার বলেন, এ রায়ে আমি এবং আমার পার্টনার-উভয়েই সন্তুষ্ট। এর ফলে শিশুটির ভবিষ্যৎ সংহত হবে। শিশুটির নাম গোপন রাখা হয়েছে প্রাইভেসি আইনের কারণে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই: প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, প্রতিষ্ঠানিকবিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলের কিশোরী জোনাকির মরদেহ যশোরে উদ্ধার
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকেবিস্তারিত পড়ুন
শিশুর স্কুল থেকে শেখা বদভ্যাস থামাবেন যেভাবে
স্কুল থেকে শিশুরা জীবনের দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকে। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নিয়মকানুনবিস্তারিত পড়ুন