আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে গিয়ে ব্রণ জনিত কারনে দাগ দেখলে মন খারাপ কার না হয়। তা পুরুষ অথবা নারী যে কেেউই হোক না কেন। ব্রণের সমস্যায় কম-বেশি ভুগে থাকেন অনেকেই। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের প্রায় সবাই এই সমস্যায় ভোগে।

আপাতদৃষ্টিতে দেখতে নিরীহ মনে হলেও দীর্ঘদিন ব্রণ থাকলে ত্বকে নানা ধরণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। তাই ব্রণমুক্ত ত্বক পেতে চাইলে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। দূরে থাকতে হবে কিছু খাবার থেকে-

১. অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার
কার্বোহাইড্রেট নির্দিষ্ট পরিমাণে শরীরের জন্য ভালো হলেও অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা যেমন, অতিরিক্ত পরিমাণে ভাত, রুটি, পাস্তা ক্ষতিকর। কারণ এই অতিরিক্ত গ্লুকোজ পরে ভেঙ্গে চিনি বা সুগার তৈরি করে যা ব্রণ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কার্বোহাইড্রেট এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণে উপাদান হলো গ্লুকোজ।

২. অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার
ফাস্টফুড জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে তেল থাকে। যা ত্বকে ব্রণ তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই এসব খাবার বাদ দেয়া উচিত্‍। ভাজা খাবার যদি খেতেই হয় তবে স্বল্প পরিমাণে প্রাকৃতিক তেলে ভাজা খাবার খাওয়া যেতে পারে।

৩. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার
একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি আমাদের শরীরে দরকার। তবে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার যেমন চকলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি বিস্কুট, এমনকি জুস আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যার কারণে ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই শরীরে আক্রমণ করে। আর ব্রণ ব্যকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে।

৪. দুগ্ধজাত খাবার
এগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সেবাম উতপন্ন হয় যা ব্রণের কারণ।

৫. বাদাম
বাদামে প্রচুর ফ্যাট বা চর্বি ও প্রোটিন থাকে। এমনিতে বাদাম খাওয়া ত্বকের জন্য ভালো। কিন্তু যাদের ব্রণ হওয়ার প্রকোপ খুব বেশি তাদের এই খাবারটি এড়িয়ে যাওয়া উচিত্‍।

৬. ক্যাফেইন
অতিরিক্ত চা বা কফি খেলে ব্রণ হয়। কারণ এইসব পানীয়তে রয়েছে ক্যাফেইন নামক পদার্থ যা সেবাম তৈরি করে। এই সেবাম ত্বকের পোরগুলো বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্রণ তৈরি হয়।

৭. লবনাক্ত খাবার
এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন। যা ব্রণ হতে সাহায্য করে।