৭০ বছর পর ট্রেন এলো, আঁচলের খুঁট দিয়ে চোখ মুছলেন বৃদ্ধা!

এখনও ‘দ্যাশের’ কথা ভোলেননি ওরা। মাটির কথা, নদীর কথা, দিগন্তের বিস্তার— এখনও ওদের স্বপ্নে। দেশ ছেড়ে শেষ বার অনেকে এসেছিলেন বাবা-মায়ের হাত ধরে, ট্রেনে চেপেই। তখন কয়লার ইঞ্জিন। ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ট্রেন ছুটত। সেই ট্রেনই ফের ছুটবে জেনে উত্তেজনার প্রহর গুনছিলেন ওরা।
শনিবার বেলা দেড়টা নাগাদ কানে এলো ট্রেনের হুইসল। এ পারের ইঞ্জিন টেনে আনল ও পারের বগি। পরীক্ষামূলক ভাবে চলল যাত্রিবাহী খুলনা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস-২। এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতা থেকে একটি ইঞ্জিন আসে বেনাপোলে।
সেখানে খুলনা থেকে আসা ও দেশের ছ’টি কামরা অপেক্ষায় ছিল। ভারতের ইঞ্জিন গিয়ে জোড়ে সেগুলির সঙ্গে। বেলা ১টা ৩২ মিনিট নাগাদ পেট্রাপোল স্টেশনে ঢোকে ট্রেন। ফুল দিয়ে সাজানো। সামনে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা-মোদি, মাঝে বঙ্গবন্ধুর ছবি।
দুই নাতনির হাত ধরে ছুটতে ছুটতে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছালেন শীলাদেবী। দূর থেকে ট্রেন দেখতে পেয়ে আঁচলের খুঁট দিয়ে চোখ মুছছিলেন। অস্ফূটে বললেন, ‘বাবা-মায়ের কথা মনে পড়ল। ওদের হাত ধরেই শেষ বার এই ট্রেনে চেপে এ দেশে আসি।’
তারপর ইছামতী দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। স্মৃতিতে পলি জমেছে। তবু শনিবারটা ছিল অন্য রকম। বাংলাদেশ ছেড়ে আসা অজস্র মানুষের মনে বহু পুরানো কথা উস্কে দিল এই ট্রেন।
অতীতে খুলনা থেকে শিয়ালদহের মধ্যে ট্রেন চললেও ৭০ বছর আগে ষাটের দশকে তা বন্ধ হয়ে যায়। খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, যশোর, পটুয়াখালির বাড়ি থেকে ছুটিছাটায় তারা এই ট্রেনে চড়েই ভারতে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আসতেন। তখনও চুলে পাক ধরেনি। এখন কারও হাঁটুতে ব্যথা তো কারও কোমর জবাব দিয়েছে। আজ তারা ফিরলেন সেই শৈশবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা
দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিবিস্তারিত পড়ুন

শিবির সভাপতি: অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থবিস্তারিত পড়ুন

মহাকাশে কতগুলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, শীর্ষে কোন দেশ?
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে মোট ৩০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণবিস্তারিত পড়ুন