রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

৭ নভেম্বর ঘিরে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির মাঠ

৪১ বছর আগের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে মুখোমুখি দুই দল আওয়ামী লীগ-বিএনপি। ৭ নভেম্বর সমাবেশের ডাক দেয়া বিএনপিকে ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদ আর মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আবার ‘পারলে ঠেকাও’ বলে পাল্টা হুমকি দিয়ে উত্তেজনার পারদ বাড়িয়েছেন আরেক দফা।

তাহলে কী হচ্ছে ৭ নভেম্বর? ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে শান্ত রাজনৈতিক অঙ্গন আবার সংঘাত-সংঘর্ষের দিকে যাচ্ছে কি না- সে নিয়ে বলাবলি হচ্ছে চার পাশে।

এদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ঘোষণার পর অনুমতি চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে এখনও জবাব মেলেনি পুলিশের পক্ষ থেকে। তার আগেই যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব দুই শিবিরে।

১৯৭৫ সালে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহ স্মরণে ওই দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে বিএনপি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একই বছরের নভেম্বরে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের পর এই দিনটিতেই ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।

সেনাবাহিনীর জওয়ানদের ব্যবহার করে ওই দিন বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক জাসদ সশস্ত্র বিপ্লবের চেষ্টা করছিল। জওয়ানরা কয়েকশ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে সেদিন। পরে সেই ঘটনাপ্রবাহের নিয়ন্ত্রণ জাসদের বদলে চলে যায় জিয়াউর রহমানের হাতে। আর জওয়ানরা বন্দিদশা থেকে মুক্ত করার পর সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন সামরিক আইন প্রশাসন। পরে রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

আওয়ামী লীগ দিনটিকে পালন করে মুক্তিযোদ্ধা সেনা হত্যা দিবস হিসেবে। আর বিএনপির কাছে এটি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস।

অনেকদিন ধরে মাঠের কর্মসূচিতে না থাকা বিএনপি এবার এই দিনটিতেই জোরেশোরেই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে। ইতিমধ্যে যে কোনো মূল্যে রাজধানীতে ওইদিন সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

৭ নভেম্বর উপলক্ষে কেবল এক দিনের নয়, আগে-পরে টানা কর্মসূচি আছে বিএনপির। এর মধ্যে অন্যতম হলো- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ। রাজনীতির ময়দানে বেকায়দায় থাকা বিএনপি এই কর্মসূচিতে বড় ধরণের লোক সমাগম করে নিজের জনসমর্থন ও সাংগঠনিক ক্ষমতা অটুট থাকার প্রমাণ দিতে চায়। এই কর্মসূচিতেই দীর্ঘদিন পর সমাবেশে আসছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘ওইদিন প্রমাণ হবে বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। ওই সমাবেশ হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ।’

দলীয় সূত্র বলছে, ইতিমধ্যে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীলদের ৭ নভেম্বরের সমাবেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রস্তুতির মধ্যেও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা স্পষ্ট। কারণ আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবউলআলম হানিফ এদিন সিপাহী বিপ্লবের নাম করে বিএনপিকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে ব্যর্থতার পর সরকার পতন আন্দোলনেও খালিহাতে ঘরে ফেরা বিএনপি কি এই হুমকি মোকাবেলা করে সেদিন সমাবেশ করতে পারবে?- এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা ঢাকাটাইমসকে বলেছেন বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী সমর্থকেরাই।

ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা বলেন, ‘অনেকগুলো সময় আমরা অনুমতি চেয়েছি, কিন্তু পাইনি। পরে ছোট পরিসরে কর্মসূচি পালন করতে হয়েছে। এবার শেষ পর্যন্ত কী হবে জানি না। তবে কর্মসূচি পালন করতে দিলে সরকারের জন্যই ভালো হবে।’

হানিফের এই হুঁশিয়ারিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেছেন, ‘৭ নভেম্বর যে কোনো মূল্য সমাবেশ করবে বিএনপি। তুমি হানিফ পারলে ঠেকাও।’

তবে আলালের ‘জেহাদী’ মনোভাব নেই বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে। দলের একজন সহসভাপতি বলেছেন, সরকারি বাধা উপেক্ষা করে কর্মসূচি পালনের অবস্থায় বিএনপি নেই। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যদি সমাবেশের অনুমতি নাই মেলে তাহলে অন্য কোথাও ঘরোয়া কর্মসূচিতেই যাবে বিএনপি।

ওই নেতা বলেন, ‘কিছুদিন আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনেক জাঁকজমকপূর্ণভাবে কাউন্সিল করেছে। আমরা আশা করবো, প্রশাসন তাদের মতো আমাদেরকেও সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি দেবে।’

যদি অনুমতি না পান তাহলে আসলেই কি আপনারা সোহরাওয়ার্দীতে দলে দলে যাবেন?- জানতে চাইলে ওই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবো। কিন্তু সরকার সুযোগ না দিলে বিকল্প ভেন্যুতে ছোট করে হলেও কর্মসূচি পালন করা হবে। সে ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনকেই বিকল্প হিসেবে ভেবে রেখেছি আমরা’।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি গণতান্ত্রিক দেশ হয়, তাহলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি নিয়ে কোনো সংশয় থাকার কথা না।’

আওয়ামী লীগ নেতারা তো বিএনপিকে সেদিন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন- এমন মন্তব্যের জবাবে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। এ কারণে সরকার আমাদেরকে নিয়ে আতঙ্কে থাকে। মানুষ তখনই প্রতিহতের ঘোষণা দেয় যখন মানুষ ভয়ে থাকে। সরকারের তাই হয়েছে।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কর্মসূচি যেহেতু ঘোষণা হয়েছে, তাই সেদিন পালনও করা হবে তা।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক

রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

  • হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
  • বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল