৮ বছর পর অবশেষে শীর্ষের স্বাদ পেলেন মুস্তাফিজের ভক্ত ওয়ার্নার
ডাবল সেঞ্চুরি হয়নি। তবে ১৭৯ রানের ইনিংসটিতে ঘটল ব্যাপারটা। এই এক ইনিংসেই ৩৫ রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে ডেভিড ওয়ার্নারের। আর তাতেই ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানদের শীর্ষে উঠেছেন এই ওপেনার। তবে এ খবরে উল্টো প্রশ্ন উঠছে, এত দিন পর!
আসলেই তো, ওয়ার্নারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবের ৮ বছর পূর্তি হলো এ মাসেই। ওয়ানডে অভিষেকেরও আট বছর হয়ে গেছে। এ সময়ে অস্ট্রেলিয়া দলের মূল ব্যাটিং ভরসায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে। কতবার দল জেতানো ইনিংস খেলেছেন, সেটা গোনার চেষ্টা করাও কঠিন। কিন্তু কোনোভাবেই র্যাঙ্কিংয়ে ওপরের দিকে আসতে পারছিলেন না তিনি, বিশেষ করে ওয়ানডেতে। টি-টোয়েন্টিতে আবির্ভাবের সেই ৮৯ রানের ইনিংসটির পর সে পারফরম্যান্স ধরে রেখেছেন। ২০১১ সালের শেষ দিকে টেস্ট অভিষেকের পর সেখানেও সাফল্য পেয়েছেন নিয়মিত।
শুধু ওয়ানডে এলেই কেন যেন ওয়ার্নারকে ঠিক ওয়ার্নার মনে হতো না। এ কারণেই প্রথম ৭ ওয়ানডেতে ১৫ গড়ে ১০৬ রান করে সেই যে বাদ পড়েছিলেন একদিনের ক্রিকেট থেকে, দলে ঢুকতে ঢুকতে আবারও দুই বছরের অপেক্ষা। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেতে পেতে ১৯ ইনিংস। এর আগ পর্যন্ত ১৮ ইনিংসে ২২.৫০ গড়ে ৪০৫ রান অস্ট্রেলিয়ার কোনো ওপেনারের নামের পাশে মানায় না। এর চেয়ে বড় কথা, যে ঝড় তোলার জন্য এত খ্যাতি, বোলারদের কচুকাটা করার জন্য যাকে দলে ডাকা হয়েছিল, সে ওয়ার্নারের স্ট্রাইকরেট তখন ছিল ৮৩ নিচে!
২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরির পরও যে খুব একটা বদলে গেছেন ওয়ার্নার তা নয়। এক ইনিংস ভালো করেন তো আবার কিছুদিন চুপচাপ থাকেন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাঁর ওয়ানডে পরিসংখ্যান একেবারেই মানাচ্ছিল না নামের পাশে। ৬৫ ম্যাচে ৩৫.৯১ গড়ে মাত্র ২ হাজার ১৯১ রান। সেঞ্চুরি মাত্র ৪টি!
কে জানে এরপরই বোধ হয় ওয়ার্নার ভাবলেন, অনেক হয়েছে আর না! সেই যে রূপ বদলালেন, এখনো চলছে ওয়ার্নারের রান-মেশিন। ২০১৬ সাল থেকে কাল পর্যন্ত ২৮টি ওয়ানডে খেলছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। ২৮ ইনিংসে ৯টি সেঞ্চুরি আর ৪টি ফিফটিতে ১ হাজার ৭৫৫ রান। দুবার নার্ভাস-নাইন্টিজে কাটা না পড়লে সেঞ্চুরি সংখ্যা হতো ১১! সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এ সময়ে তিনি রান নিয়েছেন ১০৬.৯৪ স্ট্রাইকরেটে। এমন ঝড়েই ক্যারিয়ারের স্ট্রাইকরেটটাও এখন এক শ (৯৬.৮৫) ছোঁয়ার আভাস দিচ্ছে।
গত আগস্টের পর থেকে ওয়ার্নারের ফর্ম তো অচিন্তনীয়, ১৪ ম্যাচে ৭ সেঞ্চুরি। সেটা ১১ ম্যাচে কমিয়ে আনলে সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়ায় ছয়ে। গত ১৩ মাসে ওয়ার্নারের এমন পারফরম্যান্সই বদলে দিল সবকিছু। বিশ্বের ২২ নম্বর (৬৩৮ রেটিং পয়েন্ট) ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০১৬ সাল শুরু করা ওয়ার্নারই আজ র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় উঠে গেলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, বিরাট কোহলিদের টপকে।
২২ বছরের তরুণ যা পারেনি, সেটা ৩০ বছর বয়সে এসে করে দেখাচ্ছেন ওয়ার্নার। বয়স কী আসলেই বাড়ছে তাঁর, নাকি আরেকটা ‘দ্য কিউরিয়াস কেস অব বেঞ্জামিন বাটন’ গল্প লিখছেন ওয়ার্নার!
ওয়ানডের শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যান
র্যাঙ্কিং ব্যাটসম্যান রেটিং
১ ডেভিড ওয়ার্নার ৮৮০
২ এবি ডি ভিলিয়ার্স ৮৬১
৩ বিরাট কোহলি ৮৫২
৪ কুইন্টন ডি কক ৭৭৯
৫ কেন উইলিয়ামসন ৭৭০
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন