‘৮ মিনিট’-এর ভুল বোঝাবুঝি! তাতেই তোলপাড় মমতার বিমান নিয়ে?
মমতার বিমান-বিভ্রাট নিয়ে এদিনই একটি বিবৃতি জারি করেছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। ঘটনার জন্য কার্যত কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসি-কেই দায়ী করেছে ইন্ডিগো।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান-বিভ্রাট নিয়ে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। বুধবারই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পটনা থেকে কলকাতাগামী ইন্ডোগো বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে এসেছিল। বার বার চালক সেকথা এটিসি-কে জানানোর পরেও বিমানটিকে প্রায় চল্লিশ মিনিট আকাশে চক্কর কাটতে বাধ্য করা হয়। এদিন রাজ্যসভায় এই ইস্যুতে কার্যত একজোট হয়ে যান বিরোধীরা। অভিযোগ, নোটবাতিলের বিরোধিতা করাতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে।
এই ইস্যুতে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলল ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, পটনা থেকে যে বিমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ফিরছিলেন, সেই ৬ই ৩৪২ নম্বরের বিমানে জ্বালানির কোনও ঘাটতি ছিল না। শুধু তাই নয়, বিমানটি কলকাতায় স্বাভাবিক অবতরণই করেছিল বলে নিজেদের বিবৃতিতে দাবি করেছে সংস্থা। ইন্ডিগো-র দাবি, মমতার বিমান কলকাতায় বুধবার জরুরি অবতরণ করেনি। বরং কলকাতায় অবতরণের পরেও বিমানে যা জ্বালানি ছিল, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। তাহলে বিমানে জ্বালানির ঘাটতির কথা এল কোথা থেকে? বিবৃতিতে ইন্ডিগোর দাবি, ওই বিমানের চালক কলকাতা এটিসি-কে জানিয়েছিল, কলকাতার আকাশে আট মিনিট চক্কর কাটার মতো জ্বালানি বা ‘হোল্ডিং ফুয়েল’ ছিল ওই বিমানে। এর পরে যদি বিমানটিকে ভুবনেশ্বরের মতো কোনও বিমানবন্দরে পাঠাতে হত, তার জন্যও প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত জ্বালানি মজুত ছিল বিমানে। ইন্ডিগোর দাবি, বিমানচালক কলকাতার আকাশে আট মিনিট চক্কর কাটার মতো জ্বালানি বা ‘হোল্ডিং ফুয়েল’ বিমানে আছে বলে এটিসি-কে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনওভাবে এটিসি সেই বার্তা বুঝতে ভুল করে। তারা ভেবে বসে, সব মিলিয়ে বিমানটিতে আট মিনিট ওড়ার মতো জ্বালানি রয়েছে। এর ফলেই যাবতীয় উদ্বেগের সৃষ্টি হয় বলে দাবি করেছে ইন্ডিগো। বিমানে জ্বালানি নেই ভেবে তড়িঘড়ি কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসি থেকে জরুরি অবতরণের জন্য রানওয়ের পাশে দমকল, অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত রাখা হয়। নির্ধারিত সময়ের প্রায় একঘণ্টা দেরিতে কলকাতায় বিমানটি নামে রাত ৮.৪০ মিনিটে। ইন্ডিগোর দাবি, ওই রুট ব্যস্ত থাকাতেই বিমান কলকাতায় নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছতে পারেনি। বিমানটি কলকাতায় অবতরণের পরেও তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানি ছিল। ওই বিমানটির অবতরণের ক্ষেত্রে বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত কোনও নিয়মভঙ্গ করা হয়নি বলে দাবি করেছে ইন্ডিগো। ডিজিসিএ-র তদন্তে ইতিমধ্যেই সংস্থার তরফে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিগো।
কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অবশ্য পাল্টা দাবি, জ্বালানি কম আছে বলে দাবি করেছিলেন ইন্ডিগোর চালক। সেই কারণেই বিমানটিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবতরণ করানো হয়।
ডিজিসিএ-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান কানু গোহেন এবেলা.ইন-কে জানিয়েছেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী বিমানে পটনা থেকে কলকাতায় আসার জ্বালানি ছাড়াও বিকল্প গন্তব্যে পৌঁছনো এবং অবতরণের আগে দরকারে আকাশে চক্কর কাটার মতো প্রয়োজনীয় জ্বালানি থাকার কথা। বিমানে এই পরিমাণ জ্বালানি ছিল কি না, সেটাই তদন্তে সেটাই দেখা উচিত। আর বিমানচালক যদি বলেন যে বিমানে জ্বালানি কম আছে, তা হলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রানওয়ের পাশে দমকল, অ্যাম্বুল্যান্সেকে তৈরি রাখাটাই নিয়ম।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
প্রকাশ্যে জানালেনঃ দুই পরিচালকের সঙ্গে ‘প্রেম’ ছিল পায়েলের
টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বনামধন্য দুজন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও আবিরবিস্তারিত পড়ুন
প্রথম ‘সন্তানের’ জন্মলগ্নে কেঁদেছিলেন দেব ! দায়িত্ব অনেকটাই একা সামলাচ্ছেন তিনি
শিরোনাম পড়ে ভাবছেন, নায়ক দেব তো বিয়েই করেননি, তাহলে সন্তানবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত বাবা রাম রহিমের আয় কত, অনেকেই জানেনা?
ভারতের বিতর্কীত ধর্মগুরু বাবা রাম রহিমের পঞ্জাব, হরিয়ানায় স্থাবর সম্পত্তিরবিস্তারিত পড়ুন