৯ মাসের সাজা শেষ হলো দীর্ঘ ১৮ বছরে
দীর্ঘ ১৮ বছর বাংলাদেশের কারাগারে থাকার পর ভারতীয় এক নাগরিককে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। অস্ত্র মামলায় ৯ মাস জেল খাটার পর কেউ তাকে নিতে না আসায় ১৮ বছর কারাগারেই কাটিয়েছেন তিনি।
তার নাম চিত্তরঞ্জন গাইন (৫৩)। তিনি ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবা থানার কুমিরমাটি গ্রামের হরেন্দ্রনাথের ছেলে। তার সঙ্গে চার বছর কারাভোগের পর কলকাতার বি/৩০৪ গ্রিল ব্যালি হাউজিং কমপ্লেক্স কৈখালি ছিরিয়া মোড় এলাকার ঈশ্বর ডক্টর কেদাচরণ রায়ের ছেলে ভাস্কর রায়কেও (৪৩) দেশে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এদের একজন অবৈধপথে বাংলাদেশে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। অপরজন মানসিক রোগী। পথ ভুলে আসে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির যশোর এরিয়া কো-অর্ডিনেটর আব্দুল মোহিদ জানান, চিত্তরঞ্জন গাইন সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে একটি পিস্তল নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এরপর যশোর আদালতের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে তার ৯ মাস সাজা হয়।
সাজার মেয়াদ শেষ হলেও তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থেকে যান। তাকে মুক্ত করার জন্য কোনো লোক না পাওয়ায় কারাগারে নীরবে কেটে যায় ১৮ বছর। ভারতের অপর নাগরিক ভাস্কর রায় একজন মানসিক রোগী। তিনি ২০১২ সালে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। পরে তাকে চার বছর সাজা দেন আদালত। তারা উভয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।
তিনি আরো জানান, মহিলা আইনজীবী সমিতি খবর পেয়ে কাগজপত্র তুলে ভারতীয় নাগরিকদের যশোর কারাগার থেকে মুক্ত করে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
ফেরত যাওয়া ভারতীয় নাগরিক চিত্তরঞ্জন গাইন ও ভাস্কর রায় বলেন, দীর্ঘদিন কারাভোগের পর নিজ দেশে যেতে পেরে আনন্দ লাগছে। এতোদিন পরিবারের সঙ্গে বিছিন্ন ছিলাম। আবার এক হবো। পরিবারের কারা বেঁচে আছেন আর কারা নেই সেটা দেশে ফিরেই খুঁজবো।
বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বেনাপোলের কিশোরী জোনাকির মরদেহ যশোরে উদ্ধার
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকেবিস্তারিত পড়ুন
শিশুর গলায় পিস্তল ঠেঁকিয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুট
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামেবিস্তারিত পড়ুন
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে অভিযান
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে যশোর পৌর এলাকায় একটি দোতলা বাড়ি ঘিরেবিস্তারিত পড়ুন