কোরবানির পশুর চামড়ার দাম ৩০ শতাংশ কমছে
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম নিম্নমুখী থাকা, রফতানি আদেশ কমে যাওয়া ও ইউরোর দরপতনসহ নানা কারণে দুই বছর ধরেই কমানো হচ্ছে চামড়া দাম। ফলে চামড়া ব্যবসায় নিয়মিতই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রান্তিক ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। এ ধারাবাহিকতা এবারও বজায় থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা আশঙ্কা করছেন, আসন্ন কোরবানি ঈদেও কমতে পারে চামড়ার দর।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, (সোমবার) পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে ৩০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করতে যাচ্ছে চামড়া ব্যবসায়ীরা।
প্রতি বছর কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রস্তুত চামড়া, চামড়া পণ্য ও জুতা রফতানিকারক সমিতি (বিএফএলএলএফইএ), বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) ও কাঁচা চামড়ার আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে ৭ অথবা ৮ সেপ্টেম্বর চামড়ার চূড়ান্ত দর ঘোষণা করবে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে টানা দরপতন চলছে চামড়ার দামে। পাশাপাশি এবার লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রক্রিয়াযাতকরণ খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে, ট্যানারিগুলোতে আগের অর্ডারের চামড়া এখন রফতনি হচ্ছে, নতুন রফতানি অর্ডার অনেক কম। এছাড়া সাভারে চামড়া শিল্পনগরীতে ট্যানারি স্থানান্তর নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছে।
এ জন্য বিনিয়োগও করতে হচ্ছে মালিকদের। এ পরিস্থিতিতে চামড়ার বেশি দর নির্ধারণ করে দিলে তাদের আরো লোকসানে পড়তে হবে। ফলে এবারো দাম কমানোর প্রস্তাব করা হবে।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩০ শতাংশ কম দাম নির্ধারণের প্রস্তাব করা হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভায়। এর কারণ বিশ্ব বাজারেই দাম কম। কম দাম নির্ধারণে সব সংগঠনই একমত। তা না হলে সবাই লোকসানে পড়বে।’
তিনি আরো জানান, এ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম ৪০ শতাংশ কমেছে। গত দুই বছর বিশ্ববাজারে এ অবস্থা। এতে দেশের বাজারেও প্রভাব পরেছে। সাধারণ বাজারেই দাম নেই। রফতানি অর্ডারও কম। প্রক্রিয়াকরণ খরচ বেড়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এবার চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম হবে।
বিগত সময়ে দেশের চামড়ার দাম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৩ সালের পর প্রতি বছরই কমছে চামড়ার দর। ওই বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার নির্ধারিত দাম ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ও খাসির চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। পরের বছর ২০১৪ সালে তা প্রথম দফায় কমে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং খাসির চামড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়।
গত বছর তা আবারো কমেছে। ২০১৫ সালে চামড়ার দাম আরো কমিয়ে গরুর ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং খাসির ২০ থেকে ২২ টাকা বর্গফুট দাম নির্ধারণ করা হয়। আর ঢাকার বাইরে এর দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। গত বছরও চামড়ার কম দাম নির্ধারণে একই কারণ ছিল। সে বছর চামড়া দাম আগের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কমিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ


‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলার জন্যবিস্তারিত পড়ুন


৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন


নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন













