ভয় দেখিয়ে স্কুলে একজন আমার শরীরে…
মা-বাবা আর বোন এই ছিল আমার ভুবন। স্কুল-পড়াশোনা-বন্ধুবান্ধব— হেসেখেলে বেশ কাটছিল ছোটবেলার দিনগুলো। হঠাৎই একদিন ঘটে গেল সেই বাজে ব্যাপারটা।
তখন আমি একটি বয়েজ-স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। একদিন, স্কুল কর্তৃপক্ষের একজন আমার শরীর স্পর্শ করল। সেই স্পর্শ ছিল কেমন ক্লেদমাখা। খুব সংকোচ হয়েছিল। কিন্তু কাউকে কিছু বলতে পারিনি। ভয় দেখিয়েছিলেন সেই ‘ভদ্রলোক’। বাড়িতেও কাউকে কিছু বলতে পারিনি, লজ্জায়।
স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোতাম ঠিকই, তারপর কাছের একটি পার্কে দিয়ে বসে থাকতাম। আবার ছুটির সময়ে ফিরে যেতাম বাড়িতে। প্রায় এক মাস এইভাবে চলার পরে, একদিন এক প্রতিবেশীর কাছে ধরা পড়ে গেলাম। বাবার কানে খবর গেল। সেদিন বাড়িতে ধুন্ধুমার কাণ্ড হল সন্ধ্যায়। শতবার জিজ্ঞাসা করার পরেও, স্কুল না-যাওয়ার কারণ বলতে পারিনি। শেষে অবশ্য বলেছিলাম, আমার দিদিমাকে।
স্কুল বদল করে অন্য একটি স্কুলে ভর্তি করে দিলেন বাবা। ছাত্র জীবনের মজা আক্ষরিক অর্থে এই নতুন স্কুলেই পেয়েছিলাম। ক্লাসমেট-শিক্ষক— সবাই খুব সাবলীল ভাবে মেনে নিয়েছিলেন আমাকে।
‘মেনে নিয়েছিলেন’!
একটু অদ্ভুত শোনাল নিশ্চয়ই। ভাবছেন চোদ্দ-পনেরো বছরের একটি ছেলেকে, একটি বয়েজ-স্কুলে মেনে বা না-মেনে নেওয়ার কি আছে? আছে বৈকি!
আমাদের সমাজে যে এখনও ‘আমার মতো’ মানুষদের মানা না-মানার দোলাচলে সদাই দোদুল্যমান। কোথায় যেন সমাজের বাধে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে, বন্ধুত্ব করতে, ভালোবাসতে।
কিন্তু, আমার যে এটাই ‘স্বাভাবিকতা’। মা-বাবার প্রথম সন্তান আমি। বাড়ির বড় ছেলে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সকলের মনে হয়েছিল ‘অস্বাভাবিক’ আমি। কেমন যেন ‘মেয়েলি’ আমি। অথছ আমি নিজে কিছু বুঝিনি।
আর, যখন বুঝলাম, তখন আত্মীয়দের থেকে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছি। অবহেলার শুরু সেইসব ঘটনা দিয়ে। তারপরৃ সুত্রে- এবেলা
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন