হাসিনার রুটিনেই চলছেন খালেদা
রাজনীতিতে গত ১০ বছর ধরে বিএনপি অনেকটা অসহায়। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (৫ জানুয়ারি) পূর্বে এবং পরে রাজনৈতিক মাঠে বিএনপি নেই বললেই চলে।
গত ১০ বছরে দেখে গেছে, শেখ হাসিনার রুটিনেই চলছেন সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।বেগম খালেদা জিয়াকে বৈধ দলিলমূলে বরাদ্দ দেয়া সেনানিবাসের শহীদ মঈনুল রোডস্থ বাড়ি থেকে ২০১০ সালে মধ্যযুগীয় কায়দায় উচ্ছেদ করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনে গেলেন না। নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি ভেবেছিল আন্দোলন করে শেখ হাসিনার কাছ থেকে মধ্যবর্তী নির্বাচন আদায় করবেন কিন্তু সেটাও পারলেন না।
৫ জানুয়ারির ওই নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করেন।
গত বছর টানা ৯২দিন আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়েছেন খালেদা জিয়া। ওই আন্দোলনের সময় খালেদার বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামীপন্থী বিভিন্ন সংগঠন। ওই কর্মসূচিতে সরকারের মন্ত্রীও অংশ নিয়ে ছিলেন।
ওই সময়ে খালেদার বাড়ির বিদ্যুৎ, টেলিফোন ও ডিস লাইনের সংযোগ কেটে দেয়া হয়েছে। এমনকি খালেদার বাসায় খাবার প্রবেশেও বাধা দেয়া হয়েছে। আর এখন দেশের গুরুত্বপূর্ণ নানা ইস্যুর সময় খালেদার মামলাগুলো নিয়ে আসা হয় সমানে। আর খালেদা জিয়াও আদালতে হাজিরা দেন।আবার গত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় পুলিশের সামনেই খালেদার গাড়ি বহরে হামলা হয়।
মার্চ মাসে বিএনপির সম্মেলনের স্থান নির্ধারণ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানান জটিলতা। আর সম্মেলনের পর বিএনপি চাঙ্গা হবে, আন্দোলন করবে, সরকারের পতন ঘটাবে, নতুন নির্বাচন হবে এরকম হাজার স্বপ্ন দেখেন বিএনপি। তবে তাদের এ স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন হয় না।
সম্মেলন হয়ে যাওয়ার এতদিন পরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারেন নি খালেদা জিয়া। সেখানে আন্দোলন ও সরকার পতনের কথা বলে আর কি লাভ? তাহলে কি ধীর পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি? তবে যেভাবে ধীর গতিতে ঠাণ্ডা মাথায় এগুচ্ছেন খালেদা জিয়া। তাতে আর কারও কিছু মনে না হলেও আমার মনে হচ্ছে, আমার উপরের লেখা বর্ননায় শেখ হাসিনার রুটিন খালেদা জিয়া যেভাবে মেনে নিয়েছেন, (মানে সরকারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার কাছে যা এসেছে সবই মেনে নিয়েছেন তিনি।), তেমনি শেখ হাসিনার দেয়া আগামী রুটিনগুলিও খালেদা জিয়া অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে মেনে নিবেন বলেই মনে হচ্ছে। আর কমিটি ঘোষণায় খালেদা জিয়া যেভাবে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করছেন তাতে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ যে কথা বলছেন, ‘২০১৯ সালে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হবে এবং তা শেখ হাসিনার অধীনেই হবে।’ শেখ হাসিনার এ রুটিনও হয়তো মেনে নিবেন খালেদা জিয়া।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ


‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলার জন্যবিস্তারিত পড়ুন


৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন


নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন













