চার হত্যা মামলার শুনানি : প্রধান বিচারপতির জন্য অপেক্ষা


বাবা-মাকে হত্যাকারী ঐশী রহমান, ব্লগার রাজীব, শিশু রাজন ও রাকীব হত্যাসহ মোট চার মামলার নথি প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অনুমোদন দিলে হাইকোর্টে মামলাগুলোর শুনানি শুরু হবে।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা যায়, পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার ঘটনায় মেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঐশী রহমান, ব্লগার রাজীব হায়দার, শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন ও রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলার পেপারবুক তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে অনুমতির জন্য আবেদন) শুনানি করতে ঐশীসহ এ চারজনের পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। গত জুন মাসে এ চারজনের পেপারবুক তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়।
ডেথ রেফারেন্স শাখার প্রধান কর্মকর্তা অশোক পাল এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এসব মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতির অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে এখনো অনুমোদন না হওয়ায় কার্যতালিকায় আনা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) সাবিব ফয়েজ বলেন, ‘পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে। আশা করি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এসব মামলা শুনানির জন্য প্রস্তুত করতে পারব।’
হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স সূত্রে জানা যায়, ঐশীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন বিষয়ক (ডেথ রেফারেন্স) ৭২০ পৃষ্ঠা। রাজনের হত্যা মামলার পেপারবুকের মোট পৃষ্ঠাসংখ্যা ৭০৬, রাকিবের ৪৩৫ পৃষ্ঠা এবং ব্লগার রাজীবের ৯২০ পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে।
গত বছর ১০ ও ১৯ নভেম্বর রাজন, রাকিব ও ঐশীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদেনের নথিপত্র হাইকোর্টে আসে। চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি রাজীব হত্যা মামলার বিচারিক আদালতের নথিপত্র হাইকোর্টে আসে।
মামলার বিবরণ
ব্লগার রাজীব : ২০১৩ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নিজ বাসার সামনে হত্যা করা হয় ব্লগার রাজীব হায়দার। পরের দিন তাঁর বাবা হত্যা মামলা করেন। পরে রাজীব হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন দিয়ে ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রায় দেন।
ঐশী রহমান : ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরের দিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দিন বিকেলে পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন ওই দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান। পরে ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, অনাদায়ে দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে দুই বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার অপর আসামি আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করে ঐশীর রহমান।
রাজন : ২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁও এলাকায় চুরির ঘটনায় সামিউল আলম রাজনকে হত্যা হয়। বিচার-প্রক্রিয়া শেষে চারজনের ফাঁসির আদেশ দেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন আসামিরা।
রাকিব : ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনার টুটুপাড়া কবরখানা মোড়ের একটি ওয়ার্কশপে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসার মেশিনের মাধ্যমে মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় রাকিবকে। পরে খুলনার আদালত এ ঘটনায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এরপর আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ


ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন


ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন


ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন













