টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ৮ লক্ষণ জেনে নিন
ডায়াবেটিসের একটি ধরন হলো টাইপ ২ ডায়াবেটিস। এটি সাধারণ ডায়াবেটিসের থেকে কিছুটা আলাদা। এ লেখায় দেওয়া হলো সাতটি লক্ষণ, যা দেখে আপনি টাইপ টু ডায়াবেটিসের বিষয়ে তথ্য পাবেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
১. তৃষ্ণাবোধ
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের একটি লক্ষণ হলো তৃষ্ণাবোধ হওয়া। আপনি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলেও কিছুক্ষণ পর পর আপনার তৃষ্ণাবোধ হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, এ তৃষ্ণাবোধটি আপনার প্রকৃত তৃষ্ণা নয়। মস্তিষ্ক থেকে তৃষ্ণার এ অনুভূতিটি তৈরি হচ্ছে। আর এর পেছনে গ্লুকোজের ভারসাম্যহীনতা দায়ী।
২. ঘন ঘন টয়লেট
অনেক টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদেরই ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ অনুভব করতে দেখা যায়। আর এ কারণে অনেকেরই ব্যক্তিগত জীবনে বেশ সমস্যা হয়। এর মূল কারণ রক্তে অতিরিক্ত শর্করা জমা হওয়া। এ শর্করা দূর করার জন্য কিডনিকে বাড়তি কাজ করতে হয়। আর এজন্য বাড়তি প্রস্রাবের বেগ আসে। তবে এক্ষেত্রে পানি কম পান করলে সমস্যা আরও বাড়বে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
৩. দুর্বলতা ও বিভ্রান্তি
অনেকেই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে দুর্বলতায় ভোগেন। এটি শরীরকে মারাত্মক দুর্বল করে দেয়। এ কারণে অনেকের মস্তিষ্কে বিভ্রান্তিও তৈরি হয়। এতে চিন্তাভাবনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়।
৪. হাত-পায়ের অসাড়তা
অনেকেরই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে এমনটা হয়ে থাকে। এতে হাত ও পায়ের অসাড়তা তৈরি হয়। মূলত নার্ভ ড্যামেজের কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যাটি একদিনে হয় না। দীর্ঘদিন ধরে এমনকি বছর ধরেই ধীরে ধীরে এটি বেড়ে যায়। আর এর লক্ষণ হিসেবে ব্যথা, অসাড়তা ও চুলকানির বিষয়গুলো দেখা যায়।
৫. চোখ জ্বলা
আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা যখন বেশি থাকবে তখন চোখ জ্বালাপোড়া করতে পারে। আর এতে কোনো একটি স্থানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতেও সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যা বাড়তে থাকলে অনেকের চোখের স্থায়ী ক্ষতিও হতে পারে।
৬. ত্বকের সমস্যা
টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে অনেকেরই ত্বকের অংশবিশেষে ডার্ক স্কিন দেখা যায়। এটি ভালোভাবে ধুলে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে দূর করা যায় না। অনেক সময় এর পাশাপাশি ত্বকে র্যাশ ধরনের উঁচু নিচু অবস্থাও দেখা যায়।
৭. ওজন হ্রাস
বহু মানুষেরই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে দেহের ওজন মারাত্মক কমে যায়। আর এ ওজন কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতা অনেকাংশে দায়ী।
৮. সংক্রমণ
টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে অনেকেরই ঘন ঘন সংক্রমণ হতে থাকে। এছাড়া একবার সংক্রমণে আক্রান্ত হলে তা সহজে সারতে চায় না। অনেক নারীই ঘন ঘন ব্লাডার ও ভ্যাজাইনাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হন। এ সমস্যা অ্যান্টিবায়োটিকে সারলেও পরবর্তীতে আবার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের আক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ


মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন


রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন


জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন













