নতুন বছরেই পিলারের ওপর দাঁড়াবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু


চীনের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, নতুন বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে দু’টি পিলারের ওপর স্প্যান-গার্ডার বসিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে, এতে পদ্মা নদীর উপরে সেতু আকৃতি স্পষ্ট হবে। অর্থাৎ বছর শেষ হলেই পিলারের ওপর ভর করে দাঁড়াবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু।
এভাবে একটার পরে একটা করে মোট ৪২টি পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দীর্ঘ ৪১টি স্প্যান (মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত) দিয়ে গড়ে উঠবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু।
মাওয়ায় পদ্মাতীরের অদূরে ট্রাস ফেব্রিকেশন ইয়ার্ডে সেতুর উপরিভাগের (স্প্যান) জয়েন্টের কাজ চলছে। চীন এবং বাংলাদেশের শ্রমিকরা যৌথভাবে সেতুর জয়েন্ট, সেকশন, গার্ডার, টপকর্ড ও বটমকর্ড অংশের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এগুলোর বেশিরভাগ কাজই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হচ্ছে।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের (মূল সেতু) নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, কাজের গতি আরও বাড়াতে চীন থেকে আনা হচ্ছে আরেকটি শক্তিশালী হ্যামার এবং ফ্লোটিং ক্রেন। এ মাসের শেষ দিকে মাওয়ায় এসে পৌঁছাবে আরেকটি স্প্যান।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত দুটি স্প্যান চীন থেকে এসেছে। যেগুলো মাওয়া অংশে ওয়ার্কশপে জয়েন্ট দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একটির কাজ শেষ হলো মাত্র। অন্যটির কাজ চলছে।
সেতুর নকশা পরিকল্পনা অনুযায়ী, উপরের অংশের সোনালি রঙের দু’টি স্প্যানের মধ্যে ৩৪টি জয়েন্ট হবে। ওয়ার্কশপে এখন পর্যন্ত ৪টি জয়েন্টের কাজ শেষ হয়েছে। একেকটি জয়েন্টের ওজন ৪৮ থেকে ৬০ টন। পদ্মাসেতুর প্রতিটি পিলারে ছয়টি করে মোট ২৪০টি পাইল থাকবে। আর দুই প্রান্তে আরও ১২টি করে ২৪টি পাইল থাকবে।
আবদুল কাদের আরও জানান, যে দু’টি স্প্যানের কাজ চলছে সেগুলো মাওয়া অংশের ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের মাঝামাঝিতে আর আরেকটি স্প্যান ৩৭ ও ৩৮ এর মাঝামাঝি বসবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা নদীর মধ্যে কয়েকটি পিলার দৃশ্যমান হয়েছে। আরও কয়েকটি পিলারের কাজ চলছে। নদীর দুই পাশে সংযোগ সড়কের কাজও প্রায় শেষের দিকে। তবে সংযোগ সেতুর কিছু কাজ উদ্বোধনের ঠিক আগে শেষ করা হবে, যাতে ফিনিশিং সুন্দর হয়।
পদ্মা সেতুর কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, মূল পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩১ শতাংশ এগিয়েছে। জাজিরা অংশে সংযোগ সড়কের কাজ এগিয়েছে সাড়ে ৭৭ শতাংশ, মাওয়া অংশে সংযোগ সড়কের মাত্র ১ শতাংশ বাকি আছে- শেষ হয়েছে ৯৯ শতাংশ কাজ। আর সার্ভিস এরিয়ার কাজ ৯৯ শতাংশ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
তবে পদ্মাসেতুর ৫টি অংশের মধ্যে কেবল পিছিয়ে রয়েছে জাজিরা অংশের সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ। তবে বাকি অংশ খুব দ্রুতই শেষ হবে বলে আশা করছেন সংযোগ সড়কের প্রকৌশলীরা। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, বাকি কাজের বেশির ভাগই ফিনিশিংয়ের কাজ। মূল কাজ আগেই শেষ করে নেওয়ায় এ কাজে তেমন দেরি হবে না। সূত্র: বাংলানিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ


‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলার জন্যবিস্তারিত পড়ুন


৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন


নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন













