আবার মুশফিকদের হারিয়ে শীর্ষে মাহমুদ উল্লাহরা
চট্টগ্রামে ‘ভায়রা ভাই’ মুশফিকুর রহীমকে ২২ রানে হারিয়েছিলেন মাহমুদ উল্লাহ। এবার ঢাকায় ফিরেই হারালেন ৬ উইকেটে। তাতে ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেল খুলনা টাইটান্স। ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ৭ দলের মধ্যে ষষ্ঠ থেকে গেল মুশফিকের বরিশাল বুলস। টানা ৪ ম্যাচে হারল তারা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবারের দ্বিতীয় ম্যাচে আসলে খুলনার সাথে লড়তেই পারলো না বরিশাল। আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১১৯ রান তুলেছিল তারা। ওটা কোনো রান না, সেটা প্রমাণ করে চমৎকার জয় পেয়েছে খুলনা। ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১২০ রান তুলে ফেলে তারা। শুভাগত হোম খেলেছেন ৩৪ বলে ৪০ রানের ইনিংস। মাহমুদ উল্লাহ ৩৫ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থেকেছেন।
প্রতিপক্ষের সামনে ১২০ রান দিয়ে বোলারদের কাছ থেকে খুব বেশি কিছু আশা করা যায় না। তবু বরিশালের বোলাররা ১৬ রানে ২ উইকেট তুলে নিলেন। ওপেনার তাইবুর রহমান ২১ রান করলেন এরপর। তাকেও ফিরিয়ে অল্প পুঁজি নিয়ে ভালো লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল বরিশাল।
তাইজুল ইসলাম-মনির হোসেনরা বেশ হিসেবী বোলিং করছিলেন। এক পর্যায়ে ১১ ওভারে ৩ উইকেট খুলনার রান ছিল ৫১। কিন্তু হাতে উইকেট এবং সামনে রান কম থাকলে যা হয়। ১২তম ওভারে মনিরকে একটি করে ছক্কা মারেন মাহমুদ উল্লাহ ও শুভাগত। ওই ওভারে আসে ১৫। পরের ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে দিতে হয় ১১ রান। এবং তাতেই হিসেবটা ৪২ বলে ৩৭। আরো অনেক সহজ।
শুভাগত এদিন ব্যাটে ছন্দ খুঁজে পেয়ে নিজের সর্বোচ্চ রানটাই করেছেন। মাহমুদ উল্লাহর ব্যাটে তো রান আছেই। তাদের জুটি ৫৭ রানের। শুভাগত অবশ্য আউট হয়েছেন। মাহমুদ উল্লাহ জয় নিয়েই ফিরেছেন।
ঢাকায় প্রথম পর্বে ভালোই ছিল বরিশাল। ৪ ম্যাচের ৩টি জিতেছিল। তারপর থেকে হারছে। বিপিএলের প্রথম ম্যাচে এদিন ১৬২ ও ১৫০ রান হয়েছে। টস জিতে মুশফিকরা আরো বড় কিছু চেয়েছিলেন। কিন্তু দুটি রান আউট, ভুল বোঝাবুঝি, ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে না পারা, গতি হারানো- সব মিলিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে তারা। ডেভিড মালান এই ম্যাচে ফিরেছেন। কিন্তু মাত্র ৭ রান করেই পাকিস্তানি পেসার জুনাইদ খানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।
একপ্রান্তে নিজে থেকে অন্য প্রান্তে বোলার বদলাচ্ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ। পঞ্চম ওভারে আরেকটি সাফল্য। এবার ওপেনার জিভান মেন্ডিসকে (১৪) তুলে নিয়ে বেশ নেচে নিলেন শফিউল ইসলাম। এই পেসার ১৪ উইকেট নিয়ে যুগ্ম ভাবে এখন এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।
এরপর হাল ধরেন বরিশালের দুই নির্ভরতা শাহরিয়ান নাফীস ও মুশফিক। এই সময়ে আম্পায়ারের ভুলে বাঁচলেন মুশফিক। কিন্তু ওই ওভারেই বাঁ হাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন নাফীসকে (২৩) তুলে নিয়ে ৪২ রানের জুটি ভাঙেন। এরপরই দুটি রান আউট। নাদীফ চৌধুরী (১) উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে ফিরতে পারেননি। আর থিসারা পেরেরা তার কলে সাড়া না দিলে মুশফিকও তার এন্ডে চলে যান। ২৬ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩১ রানে আউট মুশফিক। এখন অবশ্য বিপিএলের সর্বোচ্চ রান তার। ৭৯ রানে ৫ উইকেট পড়ে।
খুলনার বোলারদের হাতেই থাকলো রাশ। পেরেরা ১৯ বলে ১৭ এবং এনামুল হক ২০ বলে ২০ রানে অপরাজিত রইলেন। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট জুনায়েদের। মোশাররফও কৃপণ। ৪ ওভারে ১ উইকেট ১৬ রানের খরচায়। শফিউলের ১ উইকেট ৩০ রানে। বরিশালের বোলাররা অল্প পুঁজি নিয়ে বড় লড়াই দিতে পারেননি। তাই হার থেকে আর বের হওয়া হয়নি তাদের।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
চেন্নাই টেস্টে ভারতের দেওয়া পাহাড়সম ৫১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতেবিস্তারিত পড়ুন
খেলার মাঝেই সন্তানের সুসংবাদ, উইকেট পেয়ে উদযাপন শাহিন আফ্রিদির
রাওয়ালপিণ্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে ব্যস্ত পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শাহিনবিস্তারিত পড়ুন
বন্যার্তদের সহায়তায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল গঠন
সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যেবিস্তারিত পড়ুন