কারাগারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে : আইজি প্রিজন

কারাগার নির্মাণের আগে নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ করা উচিৎ ছিল। সেটা না করেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কারাগার নির্মাণ করেছেন। এ কারণে কারাগারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কারা-মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন।
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
ইফতেখার উদ্দীন বলেন, প্রাচীর ছাড়াই কারাগার যেহেতু নির্মাণ হয়ে গেছে, এখন প্রাচীর নির্মাণ করাও জরুরি। বিশেষ করে পূর্ব দিকের প্রাচীর অতিজরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পূর্বদিকের নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণের জন্য পিডব্লিউডিকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। জবাবে পিডব্লিউডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাচীর নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। তবে স্থানীয়দের বাধার মুখে তা সফল হচ্ছে না। প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয়রা অস্ত্র নিয়ে তাড়া করে বলেও অভিযোগ করেছে পিডব্লিউডি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার ওই জমি অধিগ্রহণ করার সময় সেখানে রাস্তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সরকারের এমন প্রতিশ্রুতি ছিল কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ আমি শুনেছি।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার অভাবে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বা কুখ্যাত আসামিদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়নি। তাদেরকে কাশিমপুর কারাগারেই রাখা হয়েছে। সেখানে রাখাটাই বেশি নিরাপদ। নাজিমউদ্দিন রোডে যখন কারাগার ছিল তখনও এসব কয়েদীদের কাশিমপুরেই রাখা হতো। দু-একজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছিল। তবে এখন একজনও এখানে নেই। কারণ এখানে নিরাপত্তার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।এটি একটি আইসলোটেড স্থাপনা। মহাসড়কের পাশে বাউন্ডারি ওয়াল নেই। নিরাপত্তারক্ষীও অনেক কম। তাই তাদের এখানে রাখা হচ্ছে না।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে কারা-মহাপরিদর্শক বলেন, কারাগারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ধীরগতিতে চলছে। আমি মনে করি পিডব্লিউডি’র সুপারভিশনের ঘাটতি রয়েছে। যেমন- দর্শনার্থীদের সাক্ষাতের স্থান তৈরি, রান্নাঘরের চুলা নির্মাণ করা, বন্দিদের দাঁড়ানোর আরো বেশ কয়েকটি শিট তৈরি ইত্যাদি। বন্দিদের জীবনযাপনে চরম দুর্দশা ছিল। সেটা থেকে অনেক উত্তরণ হয়েছে। তবে আমরা আত্মতৃপ্ত নই। খাবার সরবরাহে এখনও সমস্যা হচ্ছে। আমি মনে করি ৬৫ ভাগ কষ্ট লাঘব হয়েছে বন্দিদের।
সাক্ষাতের জন্য বন্দির স্বজনদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে আইজি প্রিজন বলেন, কিছু অসাধু কর্মচারী ও কর্মকর্তার যোগসাজসে এ সব কাণ্ড ঘটে। তবে প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগেও এরকম জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে সাসপেন্ড ও বদলি করা হয়েছে।
বন্দিদের মনিটরিংয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য জনবলের অভাব রয়েছে। সাড়ে ৭ হাজার বন্দির জন্য মাত্র ৭০০ কারারক্ষী রয়েছে। মাত্র ২ জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা রয়েছেন, যেখানে কমপক্ষে ২০ জন কর্মকর্তা থাকার দরকার ছিল। যারা কিনা সুপারভিশন করতে পারতেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চবিতে ফের স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ-ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সহ-উপাচার্যসহ আহত ১০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ফের সংঘর্ষবিস্তারিত পড়ুন

রাকসু কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তালা-ভাঙচুর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১,৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১২৩টি সংগঠন মোট ১,৬০৪ বারবিস্তারিত পড়ুন