খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দরকার রাজনৈতিক দাওয়াই: মির্জা আব্বাস
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনা করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমি বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। আমরা কদিন পর পর দোয়া করছি, এটি ভালো বিষয়। তবে তাকে মুক্ত করতে দোয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক দাওয়াইও লাগবে। রাজনৈতিক দাওয়াই ছাড়া তিনি মুক্ত হবেন না।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে শরিক হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন, উত্তর বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের নতুন সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম পল, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল, মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এমএ গাফ্ফার, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী এবং বিগত কেন্দ্রীয় কমিটির অসংখ্য নেতাকর্মী। শেষে দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের সদস্যসচিব মাওলানা আবুল হোসেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়া যতবারই ক্ষমতায় এসেছেন ততবারই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যুবদলের একটি ভালো ভূমিকা ছিল। ওই সময় আমি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকত উল্লাহ বুলু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। আমাদের সফলতা ছিল এটুকু যে, সবসময় একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের সঙ্গে মূল দল বিএনপিসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠন ছিল। একে অপরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। আমরা আন্দোলন করে একে একে তিনবার বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিলাম।
তিনি বলেন, এখন আমাদের প্রত্যাশা হলো এখনকার যুবদলের একটা বিশাল পরীক্ষা হবে যে, তারা এই দলকে ক্ষমতায় কতদূর নিয়ে যেতে পারবে? এমনকি এই দেশের গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হলো আমাদের লক্ষ্য। সবার আগে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এরপর আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এখন নতুন নতুন কমিটি হচ্ছে। সকল নতুন কমিটিগুলোর এটাই হলো কাজ। কারণ এই কমিটিগুলোর পরিবর্তন একটা আশা করেই করা হয়েছে কিন্তু। কাউকে পদ-পদবী বেচাকেনার জন্য দেওয়া হয় নাই। এই কমিটি এই দলকে নতুন জীবন দান করবেই এই আশা করেই কমিটি করা হয়েছে।
যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার জন্য দোয়া করছি আল্লাহ যেন গণতন্ত্রের মাতাকে সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন। একইসঙ্গে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্যও দোয়া করছি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নুর ইস্যুতে রনি: তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু হবে না
পটুয়াখালী-৩ আসনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের নুরকে সাংগঠনিকবিস্তারিত পড়ুন
বুধবার ফের অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা
অধিভুক্তি বাতিল করে আলাদা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করতেবিস্তারিত পড়ুন
৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্ত প্রকাশ করতে হাইকোর্টের রুল
৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্তভাবে পুনর্মূল্যায়ন করে প্রকাশ করতে রুল জারিবিস্তারিত পড়ুন