শুক্রবার, অক্টোবর ১১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

চা বিক্রি করে চলছে রাসেলের লেখাপড়া

কাজী আনিছুর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক : নওগাঁর আত্রাইয়ে দরিদ্রতার শিকলে আবদ্ধ মেধাবী ছাত্র রাসেল দারিদ্রতার কষাঘাতে সারাদিন দোকানে চা বিক্রি করে লেখাপড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।লেখাপড়ার পাশাপাশি সে সংসারের খরচ চালাতে বেছে নিয়েছে চা বিক্রয়ের ব্যবসা। হত দরিদ্র পরিবারের ছেলে রাসেলের বাবা তাদের সংসারের খরচ সহ তার লেখা পড়ার খরচ চালাতে যখন হিমসিম খাচ্ছিল এবং এক সময় তার লেখা পড়া প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছিল। মেধামী শিক্ষার্থী রাসেল তখন দারিদ্রতার কাছে নত স্বিকার না হয়ে নিজে লেখা পড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছোট থেকেই পড়ালেখা চলাকালীন সময়ে বেছে নেন, লেখা পড়ার পাশাপাশি চা বিক্রয়ের ব্যবসা।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের শামছুর রহমানের পূত্র রাসেল অভাবের সংসারে বসবাস করেও তার মনের ইচ্ছা সে লেখাপড়া করে চাকুরী করবে। তারই ধারাবাহিকতায় দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে ছোটবেলা থেকে স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি পিতার চায়ের দোকানে সহযোগিতা করতে থাকে। একটু বড় হলেই সে নিজে লেখাপড়ার পাশাপাশি চা বিক্রি করতে থাকে। এক সময়ের ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়–য়া ছোট শিশু শিক্ষার্থী রাসেল এখন ভবানীপুর জিএসউচ্চ বিদ্যালয় থেকে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থী।

গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার ভবানীপুর বাজারে রাসেলের চায়ের দোকানে তার সাথে আলাপচারিতায় জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া এ উদ্যোমী যুবক রাসেল চা তৈরিকালে হাস্যোজ্বল মুখে বলে, আমাদের দুঃখের সংসার মা, বাব ভাই সহ ১২ সদস্যের সংসার তাদের। চা বিক্রি করে দিনে ৪/৫শ‘ টাকা আয় হয়। তা দিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে মা বাবা ভাই ও নিজেসহ সংসারের খরচ ছাড়াও লেখাপড়ার কাজ চলে। সে আরও বলে তার স্কুল যাওয়ার সময় হলে তার পিতা দোকান দেখাশুনা করে। শিশু কালে তার পিতাই ছিল একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি। তার একার উপার্জনে সংসার চালানো দায় ছিল তার উপর আবার ছেলেদের লেখা পড়া। আর্থিক দৈন্যতা থাকলেও মনের জোরে এতটা পথ অগ্রসর হয়েছি। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে চাই। ভবিষ্যতে জীবন চালাতে কোন এক সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ হবো এতটুকু আশা আমার রয়েছে।

রাসেলের সম্পর্কে ভবানীপুর জিএসউচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান জানান, রাসেল দরিদ্র হলেও সে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। তার লেখাপড়ার আগ্রহ অন্য ছাত্রদের চেয়ে অনেক বেশি আছে। আমাদের শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও তাকে আলাদাভাবে লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। চা বিক্রেতা রাসেলকে দেখে অনেক দরিদ্র ছাত্রই পারে নিজ লেখাপড়া চালিয়ে নেয়ার কৌশল শিখে নিতে। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই চা বিক্রেতা মেধাবী ছাত্র রাসেল।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ